জামায়াতের আমীর মুহাদ্দিস রবিউল বাশার জামায়াতের সাতক্ষীরা জেলা আমীর মুহাদ্দিস রবিউল বাশার বলেছেন, আমরা আহ্বান জানাব, যেখানেই দুর্বৃত্তপনা দেখবেন, তৎক্ষণাৎ এদের প্রতিরোধ করতে হবে। আমরা কথা দিচ্ছি, বিদ্যমান প্রশাসনকে এ বিষয়ে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। জামায়াতের আমির আরো বলেন, ‘আমরা অতীব দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করছি, এই ধরনের পরিবর্তনের উষালগ্নে একটি সুবিধাবাদী দুর্বৃত্ত গোষ্ঠী জেলার বিভিন্ন জায়গায়, শহরে এবং গ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন প্রতিপক্ষের বাড়িঘর এবং ক্ষেত্রবিশেষে কিছু কিছু জায়গায় সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আঘাত করেছে। কোথাও ভাংচুর, কোথাও লুটপাট করা হয়েছে, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। যাদের অন্তরে বিবেক আছে, মানবতা আছে, তারা এগুলো করতে পারে না।’দলের নেতা-কর্মীদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে মুহাদ্দিস রবিউল বাশার বলেন, এখন থেকে যেখানে মানুষের বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা আছে, সেখানে জামায়াতের নেতাকর্মীরা যেন পাহারাদারের ভূমিকা পালন করেন। তিনি জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমীর উদ্বৃত্ত দিয়ে বলেন,‘এখানে কেউ সংখ্যালঘু নয় এবং কেউ সংখ্যাগুরু নয়। সবার অধীকার সমান।
সভায় জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক এডভোকেট সৈয়দ ইফতেখার আলী, জেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থির দ্রুত উন্নয়ন করতে তার দলের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগীতার আশ্বাস দেন।
সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতী বলেন, শহরের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে তার পৌরসভার পরিচ্ছিন্ন কমীরা কাজ করে যাচ্ছে। সদর থানার চার পাশে নিরাপত্তা বলায় গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশ কার্যক্রম শুরু করলেই জেলাতে শান্তি ফিরিয়ে আসবে।
জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান বলেন, তাদের দলের পক্ষ থেকে জেলা ব্যাপি মাইকিং করে জনগনকে সতর্ক করা হচ্ছে যাতে করে কেউ ধ্বংস যোগ্য চালাতে না পারে। বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঝুকিপূর্ণ ধর্মীয় উপাশানালয় গুলো পাহার জামায়াত শিবিরের কর্মীদের দিয়ে পাহারা বসিয়েছে।
পুলিশ সুপার মুঃ মতিউর রহমান বলেন, আজ থেকে জেলার সবকটি উপজেলার থানা গুলোতে পুলিশ কাজ শুরু করবে। সেনাবাহিনীর লেঃকঃ আরিফ বলেন, জেলার কোথা কোন অরাজকতা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করলে শাস্তি পেতে হবে। জেলার সবকটি উপজেলাতে সেনা চৌকি বসানো হবে। তিনি রাজনৈতিকদলসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগীতা কামনা করেন। তিনি আশ্বস্থ করেন দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসলে তারা দ্রুত বেরাকে ফিরে যেতে পারবে।