সাতক্ষীরা তালা উপজেলাধীন ধুলন্ডা গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে অতর্কিত হামলায় রাশিদা বেগম(৫২) নামের একজন নারী গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন।
রবিবার (০৩ নভেম্বর ) বিকাল ৪ টার দিকে রশিদা তার বোনের বেড়াতে আসলে আবুল শেখের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায় -মোঃ আনিচুর মোড়ল অভিযোগের বাদী তিনি জানান বিবাদী-১। কাশেম শেখ (৫৫), পিতা- মৃত নছিম উদ্দীন শেখ, ২। শামিম শেখ (৩০), পিতা- আবুল শেখ, ৩। মুরশিদা বেগম (২৮), স্বামী- শামিম শেখ, ৪। ফরিদা বেগম (৩৫), স্বামী- আবুবক্কার, সর্ব বিবাদীরা তাদের পারিবারিক ঘটনাকে কেন্দ্র করিয়া সকল বিবাদীরা আমার মাতাকে অশ্বীল ভাষায় গালিগালাজ করিতে শুরু করে। পরে সকল বিবাদীরা আমার মাতার সমস্ত শরীরে কিল, চড়, ঘুষি, লাথি মারিয়া ফোলাজখম করে। পরে ২নং বিবাদী আমার মাতাকে জীবনের তরে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তার দুই হাত দ্বারা আমার মাতার গলা চাপিয়া ধরিয়া শ্বাসরুদ্ধ করিয়া মারিয়া ফেলার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে ৩নং বিবাদী আমার মাতার তলপেটে লাথি মারিয়া মাটিতে ফেলিয়া দিয়া আমার মাতার সমস্ত শরীর পা দ্বারা পাড়াইয়া ফোলাবেদনাদায়ক জখম করে। পরে ১নং বিবাদী আমার মাতাকে জীবনের তরে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তার হাতে থাকা ধারালো গাছ কাটা দা হাতে লইয়া আমার মাতার মাথা লক্ষ্য করিয়া কোপ মারে। ঐ সময় আমার মাতার বাঁচার তাগিদে মাথা পিছনের দিকে সামান্য কাত করিলে কোপটি আমার মাতার মাথার উপরিভাগে মাথায় লাগিয়া মাথা ও মাথার হাড় কাটিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। ঐ সময় আমার মাতার ডাকচিৎকারে সাক্ষী-১। জামেলা বেগম (৫৫), পিতা- জুলফিক্কার, ২। ফতেমা বেগম (৫০), স্বামী- আবুল শেখ, উভয় সাং- ধুলন্ডা, থানা-তালা, জেলা-সাতক্ষীরা আরও অনেকে ঘটনাস্থলে আসিয়া বিবাদীদের হাত হইতে আমার মাতাকে উদ্ধার করার সাথে সাথে সকল বিবাদীরা পরবর্তীতে আমার মাতাকে খুনজখম করার ভয়ভীতি দেখাইয়া ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া যায়। ঘটনার সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। ঘটনার সংবাদ লোকমারফত জানিতে পারিয়া ঘটনাস্থলে যাইয়া আমার মাতার অবস্থা খারাপ থাকায় আমি তাকে অজ্ঞাতনামা পথচারী ভ্যানযোগে তালা সরকারী হাসপাতালে আনিয়া চিকিৎসার জন্য জরুরী বিভাগে ভর্তি করা হয়।
আমার বৃদ্ধ মাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্মমভাবে লাঠি দিয়ে পিটানো হয়েছে এবং তার মাথায় ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। সেখানে কয়েকটি সেলাই করতে হয়েছে। তার মাথায় ও মুখে কিল-ঘুষি মারার সময় হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে হাতের ১টা আঙ্গুল ভেঙ্গে যায় । তাই আমি প্রশাসনের নিকট এদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
এবিষয়ে তার ছেলে বাদী হয়ে তালা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।