তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, কোন মানুষ ভূল ত্রুটির উদ্ধে নয়। ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

আমি তৃণমূল থেকে উঠে এসেছি। আমাকে আপনারা চেনেন, আর আমার বলেছেন বিপক্ষের প্রার্থীকে আপনারা দেখেননি। আমার টাকা দিয়ে ভোট কেনার ইচ্ছা নেই। আপনারাই বলেছেন, কোটি কোটি টাকা দিয়ে ভোট কিনবেন আমার বিপক্ষ প্রার্থী। ভোট আপনাদের আমানত। আমাকে যোগ্য মনে করলে কাজ করার সুযোগ দেবেন। আপনাদের জন্য কাজ করবো। কোন প্রকল্পের কাজ আসলে সবাইকে সমানভাবে দিয়েছে। জয়ী হল সমান সুযোগ দেব। আমি পাচ বছরে অনিয়ম করিনি। তারপরও আমার প্রতিষ্ঠানের কেউ অনিয়ম করেলে দায় আমার। ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে অন্য কেউ যাতে অনিয়ম করতে না পারে সেব্যাপারে সচেষ্ট থাকার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। মো.নজরুল ইসলাম আরো বলেন, আমার আজ ভালো লাগছে সবাই এককাট্টা হয়ে কাজ করছে। আমি পরাজিত হলেও কোন দুঃখ থাকবেনা। আমার বিপক্ষে মিথ্যাচার বা অপকৌশল নিতে পারে। আপনারা যেটি চিন্তা করছেন সেটাই করবেন। আমি বিজয়ী হলে আপনাদের কখনোই অবমূল্যায়িত করবো না। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক আতাউর রহমান ও উপ প্রচার সম্পাদক প্রণব ঘোষ বাবলুর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান, যুবলীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য রফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু, কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন, তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান সনৎকুমার ঘোষ, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুরশিদা পারভীন পাপড়ি, তালা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আলাউদ্দিন জোয়াদ্দার, কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, কলারোয়া পৌর মেয়র বুলবুল প্রমুখ। আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হারুন উর রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এসএম শওকত হোসেন, সদর উপজেলা সভাপতি আব্দুর রশিদ, জনসংখ্যা স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. সুব্রত ঘোষ, জেলা পরিষদ সদস্য প্রার্থী আল ফেরদাউস আলফা, সদর উপজেল ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর হুসাইন সুজন ও কোহিনূর ইসলাম প্রমুখ।

তালার ১২ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্যসহ উপজেলা পরিষদের ১৫৯ জন ভোটারের মধ্যে ১৪৮ জন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সাতক্ষীরা সদর ও কলারোয়া সকল ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তরা বলেন, নজরুল ইসলাম তৃণমূল থেকে উঠে এসেছেন। তাকে ভোট দিলে জেলার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। কাউকে ক্ষতি করেছেন এই রকম কেউ বলতে পারবেন না। ঝড়ুকে আমাদের পাশে কখনও পাবো না। তাকে কেন ভোট দেব। ঝড়ুকে একজন খুনি ও সরকারি ভূমিদখলকারী হিসেবে উল্লেখ করে তারা বলেন, এই খুনি টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু তিনি সফল হতে না পেরে মাঠ ছেড়ে দিয়েছেন। কলারোয়া ১৭২ ও তালার ১৫৯ ভোট সবাইক নজরুল ইসলামকে দেওয়া অঙ্গীকার করেন ও আগামী নির্বাচনে সকল ভোটারেরা মটরসাইকেল প্রতিকে ও ভোট দিবেন