খুলনার পাইকগাছাতে মাত্র একদিনের ব্যবধানে ২টি বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম।
জানা যায়, ১০ আগষ্ট (বুধবার)বিকাল তিনটার সময় পাইকগাছা উপজেলার ২নং কপিলমুনি ইউনিয়নের বিরাশি গ্রামের মোঃ রেজাউল গাজী তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক কন্যা কে ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরঘোনা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত জশোর আলী মোড়ল এর পুত্র মোঃ জাহিদ হোসেনের সাথে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাল্য বিয়ের আয়োজন করেন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মমতাজ বেগম সরেজমিনে গিয়ে উক্ত বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন। এ সময় তিনি মেয়ের পিতা মোঃ রেজাউল গাজীকে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে তিন হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন এবং প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না মর্মে মুচলেকা নেন।এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গীয় ফোর্স হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক মোঃ আলতাফ হোসেন, আনসার কমান্ডার আবু হানিফ, ইউনিয়ন লিডার মোঃ ফয়সাল হোসেন, আনসার সদস্য জাহাঙ্গীর ও ভিডিপি সদস্য আব্দুস সামাদ গাজী।
এদিকে গত সোমবার সন্ধায় পাইকগাছা উপজেলার গড়ইখালী ইউনিয়নের বাসাখালী গ্রামের মোঃ আজিজ গাজী তার সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া কন্যাকে (১৩) পাইকগাছা পৌরসভার শিববাটি গ্রামের মোঃ মজিবর রহমানের পুত্র মোঃ রাজু আহমেদ (২২) এর সাথে বাল্য বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মমতাজ বেগম এর নির্দেশে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক মোঃ আলতাফ হোসেন, আনসার কমান্ডার আবু হানিফ, ইউনিয়ন লিডার মোঃ ফয়সাল হোসেন ও ভিডিপি সদস্য মোঃ সামাদ গাজী অভিযান চালিয়ে মেয়ের পিতাকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করেন।উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মমতাজ বেগম বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে মেয়ের পিতাকে তিন হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন এবং মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না মর্মে মুচলেকা নেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম বলেন, বাল্য বিবাহের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া যাবে না। প্রতি মাসে একাধিক বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দিলেও কমছে না বাল্যবিবাহ। তিনি আরো বলেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রশাসনের পাশাপাশি এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সুধী সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।