সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেতা এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার অস্ত্র আইনের ধারায় ৪৯ জন আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডল এর আদালতে আসামীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের ১৯ (A) (F) ও ২৩ ধারায় উক্ত অভিযোগ গঠন করা হয়। এছাড়া একই ঘটনায় বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় আদালতে ইতোপূর্বে অভিযোগ গঠন করা হয়। আদালত আগামী ২৯ জুন উভয় মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছে।
সাতক্ষীরার পাবলিক প্রসিকিউটর পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফ জানান, উচ্চ আদালতের স্থগীতাদেশের কারনে মামলা দুটির কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পরবর্তীতের উক্ত স্থগীতাদেশ ভ্যাকেট হলে গত পহেলা জুন হাইকোট বিভাগ থেকে মামলার নথি বিচারিক আদালতে আসে। সে অনুযায়ী আজ বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় স্বাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয় এবং রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ২ জন স্বাক্ষী হাজির করা হয়। তবে একই ঘটনা থেকে দুটি মামলার উৎপত্তি হওয়ায় আদালত একটির অভিযোগ গঠন করে দুটি মামলার একত্রে স্বাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।
এদিকে চাঞ্চল্যকর এই মামলার দিন ধার্য থাকায় আজ সাতক্ষীরা আদালত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। একই ঘটনায় দন্ডবিধির ধারায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে থাকা এই ৪০ জন আসামীকে নির্ধারিত সময়ে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া মামলার ৯ জন আসামী পালাতক রয়েছে এবং একজন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণধর্ষণের শিকার একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে সাতক্ষীরা হাসপাতালে দেখতে আসেন। তিনি ফিরে যাওয়ার সময় কলারোয়া উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে তাঁর গাড়ী বহর আটকে দিয়ে নেতৃবৃন্দকে মারপিট, ভাংচুর, গুলি ও বোমা হামলা চালানো হয়। এই মামলায় তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র প্রদান করা হয়।
ইতোমধ্যে দন্ডবিধির ধারায় মামলার ৫০ জন আসামীকে সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিভিন্ন মেয়াদের সাজা প্রদান করেছেন।