1. admin@dainikmanobadhikarsangbad.com : admin :
কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে তালগাছ সেই সাথে বিপন্ন হচ্ছে বাবুই পাখির নিরাপদ আশ্রয়! - দৈনিক মানবাধিকার সংবাদ
২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| বর্ষাকাল| শনিবার| সকাল ৯:৪২|
শিরোনামঃ
দক্ষিণ কাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন করলেন এমপি আশু প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ সাতক্ষীরায় কৃষক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা পাইকগাছায় অন্যত্র বিয়ে ঠিক করায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী প্রেমিক-প্রেমিকার একই সময়ে আত্মহত্যা তালায় অর্থনৈতিক শুমারিতে নিয়োজিত লিস্টারগণের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন তালায় ইন্টারফেইস মিটিং অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরায় অনলাইন জুয়াচক্রের ১০সদস্য গ্রেপ্তার মেডিকেল শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে অনলাইনে যৌন ব্যবসা, আয় শতকোটি টাকা তালায় রাজাকার ওহাব আলীর দপ্তরিক শাস্তির দাবিতে ইউএনও’র কাছে অভিযোগ তালায় পুকুর খননের সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় ওয়ান শাটারগান উদ্ধার।

কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে তালগাছ সেই সাথে বিপন্ন হচ্ছে বাবুই পাখির নিরাপদ আশ্রয়!

মোঃ সফিয়ার রহমান,পাইকগাছা প্রতিনিধি।
  • Update Time : সোমবার, নভেম্বর ১৪, ২০২২,
  • 262 Time View

কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে তালগাছ। সেই সাথে বিপন্ন হচ্ছে বাবুই পাখির নিরাপদ আশ্রয়। তাই তো দেখা মেলে না শৈল্পিক সৌন্দর্যের প্রতীক বাবুই পাখির। ছোটবেলায় আমরা অনেক বড় তালগাছ দেখেছি, দেখেছি অনেক বাবুই পাখির বাসা। কিন্তু তা আর টিকে নেই। আগেকার দিনে সারাক্ষণ তালগাছ মুখরিত হয়ে থাকতো বাবুই পাখির কোলাতানে। বলতে পারেন, একান্নবর্তী একটা পরিবার তাতে বাসা বেঁধেছে। রোদ-ঝড়-বৃষ্টিতে একটুও দমছে না তারা। বাবুই পাখি যদি নগরায়ন বুঝত, তাহলে মনে হয় ভালোই হতো। ঝড়-বৃষ্টিতে আর প্রতিকূল পরিবেশে না থেকে চড়–ই পাখির মতো অট্টালিকায় থাকতে পারত। কিন্তু তাতে ওদের স্বকীয়তা যে নষ্ট হবে সে কথা কবি রজনীকান্ত সেন তার ‘স্বাধীনতার সুখ’ কবিতায় লিখেছেন। সেই সাথে শিল্পের বড়াই তো আছেই। আর এই পঙুক্তি না বললে যেন তাদের স্মরণ করাই হবে না; ‘বাবুই পাখিরে ডাকি বলেছে চড়াই, কুঁড়েঘরে থেকে করো শিল্পের বড়াই’। হ্যাঁ, এই বাবুইকে বলা যেতে পারে সৃজনশীল কর্মী, শিল্পী ও সামাজিক বন্ধনের প্রতীকও। দেশে প্রধানত তিন প্রকার বাবুই থাকলেও দেশী বাবুই (যা দেখতে ছোট চড়ুইয়ের মতো) এর সংখ্যাই গণনযোগ্য। বাবুই আকারে সাধারণত ১৫ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। এদের প্রজনন ঋতু এপ্রিল থেকে নভেম্বর মাস। আর এ সময় এদের বেশি দেখা যায়। বাবুই পাখি বাসা বুননে খুবই দক্ষ। প্রজনন মওসুমে একটা পুরুষ বাবুই দুই-তিনটা বাসা বানায়। স্ত্রী বাবুই তার ইচ্ছেমতো যে পুরুষ বাবুইয়ের বাসা পছন্দ হয়, সে বাসায় প্রবেশ করে এবং জোড়া বেঁধে ডিম পাড়ে। এই মৌসুমে পুরুষ বাবুইয়ের গলা খয়েরি, মাথা-বুক হলদে হলেও স্ত্রী বাবুইয়ের দেহের রঙ পরিবর্তন হয় না। এরা ডিম পাড়ার স্থানে নরম ধুলার আস্তরণ দিয়ে রাখে। এক মওসুমে বাবুই দুই থেকে চারটি ডিম পাড়ে। আর বাচ্চা ফুটতে সময় লাগে দুই থেকে তিন সপ্তাহ। মজার তথ্য হলো বাবুই পাখি জোনাকি ধরে বাসার দেয়ালের নরম কাদায় আটকে রেখে রাতে আলোর চাহিদা মেটায়। এদের ঠোঁটের আগার দিকটা সরু হওয়ায় এরা শস্যদানা খেতে বেশ পটু। এ ছাড়া কাউন, ছোট কীট এদের খাদ্যতালিকার অন্যতম। বর্ষা মৌসুমে কৃষক যখন মাঠে ধান বুনে, বাবুই পাখি দল বেঁধে তাতে ভূরিভোজ করে।পাখিপ্রেমী ও পরিবেশ বাদী সংগঠন বনবিবি’র সভাপতি সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধান বলেন, কৃষিজমিতে অতিমাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ, ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে তাল-খেজুর গাছের ব্যবহারেই কারনে বিপন্ন হচ্ছে বাবুই পাখি ও বাবুই পাখির বাসা তিনি আরো বলেন তালগাছ আমাদের ভারসাম্য রক্ষা করে ও বাবুই পাখিদের আশ্রয়স্থল তালগাছ না কাটার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি। © প্রকাশক কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত -২০২২

You cannot copy content of this page