কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সাবেক সংসদ সদস্যের বাড়িতে বোমা হামলা করে দু’জনকে হত্যার মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়ার বিশেষ দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক আশরাফুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা উপস্থিত ছিল। পরে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন জামিরুল ইসলাম ওরফে মরু (৫০) ও জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা জাহিদ (৫৫)। মরু কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চামনাই গ্রামের মৃত বিদ্যান আলীর ছেলে এবং বোমা জাহিদ একই উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের শাহাদাৎ আলীর ছেলে।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলার চার আসামিকে খালাস দিয়েছেন। তারা হলেন আব্দুল সালাম ডিকেন, মিন্টু, রুহুল আমীন এবং আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রিন্স।
আদালত সূত্রের সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর তৎকালীন এমপি ও দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফাজ উদ্দীন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার বসার ঘরে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছিলেন। এ সময় বোমা হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। আফাজ উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। ওই দিনই আফাজ উদ্দিনের ছেলে এজাজ আহাম্মেদ মামুন বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪-৫ জনের নামে দৌলতপুর থানায় একটি মামলা করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা আসামীদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৩ মার্চ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত এ মামলায় ১৯ সাক্ষীর সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে ২৯ মার্চ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। আজ ধার্য তারিখে বিচারক আসামিদের শাস্তির আদেশ দেন।
আইনজীবী অনুপ কুমার নন্দী বলেন, এমপির বাড়িতে বোমা হামলা করে দুজনকে হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ মামলায় চারজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।