খুলনায় নারী চিকিৎসক ডাঃ মন্দিরা মজুমদারের আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরএমও ডাঃ সুহাস রঞ্জন হালদারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ডাঃ সুহাস পলাতক রয়েছেন।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে নিহতের পিতা প্রদীপ মজুমদার এ মামলা দায়ের করেন। গতকাল শনিবার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক। এজাহারের আসামিকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন মন্দিরা মজুমদার (২৬)। এরপর নগরীর মজিদ স্মরণীর ৮৮/১ এর বাড়িতে থেকে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। এছাড়া তিনি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে একই বছরের ৩০ এপ্রিল মন্দিরার পিতা প্রদীপ মজুমদার পিত্তথলি সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। যার অপারেশনের দায়িত্ব পড়ে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালট্যান্ট সংযুক্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ (কেএমসি) হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডাঃ সুহাস রঞ্জন হালদারের ওপর। এর সুবাদে ডাঃ মন্দিরা মজুমদারের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) ডাঃ সুহাস রঞ্জন হালদার। পরে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু ডাঃ সুহাস আগে থেকেই বিবাহিত ছিলেন। একপর্যায়ে ডাঃ সুহাসের আগের বিয়ের ঘটনাটি জেনে যান ডাঃ মন্দিরা মজুমদার। এরপরই তিনি ডাঃ সুহাসকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু কিছুতেই বিয়ে করতে রাজি হয় না ডাঃ সুহাস। প্রতারণার বিষয়টি জানাজানি হলে শেষ পর্যন্ত মানসম্মান রক্ষার জন্য আত্মহত্যার পথ বেছে নেন ডাঃ মন্দিরা মজুমদার।
গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার সাত্তার বিশ্বাস সড়কের ইসলাম কমিশনারের গলি এলাকার বাসা থেকে পুলিশ তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
শোক : ডাঃ মন্দিরা মজুমদারের অকাল ও অস্বাভাবিক মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ, তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন এবং তার আত্মহত্যার ঘটনা যদি কারও প্ররোচনায় হয়ে থাকে তদন্ত পূর্বক দোষী ব্যক্তির শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন খুলনা জেলা শাখা। বিবৃতি দিয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোঃ মেহেদী নেওয়াজ, সংগঠনের নেতা অধ্যাপক ডাঃ ধীরাজ মোহন বিশ্বাস, ডাঃ গাজী মিজানুর রহমান, ডাঃ মোলা হারুন অর রশিদ, ডাঃ প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস, ডাঃ বঙ্গ কমল বসু, ডাঃ মোঃ মামুনূর রশিদ, ডাঃ সুমন রায়, ডাঃ এস কে বলভ, অধ্যাপক ডাঃ পরিতোষ কুমার চৌধুরী, ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ডাঃ মাহমুদ হাসান লেনিন, ডাঃ আনোয়ারুল আজাদ, অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ মহসীন, অধ্যাপক ডাঃ মনোজ কুমার বোস, ডাঃ এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ, ডাঃ ডালিয়া আখতার, ডাঃ দেবনাথ তালুকদার রনি, ডাঃ খান আহমেদ হেলালি, ডাঃ মোহাম্ম হাসান, ডাঃ হিমেল সাহা, ডাঃ সোহানা সেলিম, ডাঃ কাজী করিম নেওয়াজ, ডাঃ ইউনুচ উজ জ্জামান খান তারিম, ডাঃ বাপ্পারাজ দও, ডাঃ এস এম তুষার আলম, ডাঃ মোঃ রকিবুল ইসলাম, ডাঃ শহিদুল ইসলাম মুকুল, ডাঃ পলাশ কুমার দে, ডাঃ শৈলেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, ডাঃ পার্থ সারথী শিকদার, ডাঃ সুদীপ পাল, ডাঃ তন্ময় সাহা প্রমুখ