খুলনায় ভাড়া বাসা থেকে স্বপ্না খাতুন(২৪) নামে এক নারীর দ্বিখন্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে স্বপ্নার স্বামী।
পুলিশ জানায়, রবিবার (০৬ নভেম্বর) নগরীর ১ নং গোবরচাকা ক্রস রোড তেতুল তলার রাজুর বাড়ির ভাড়াটিয়ার ঘর থেকে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় বাক্সবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে।
গত শনিবার রাতের কোনো একসময় হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয় বলে অনুমান করা হচ্ছে।
স্বপ্না খাতুন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ভাগা গ্রামের আইয়ুব আলী সরদারের মেয়ে এবং আবুবক্কার একই গ্রামের জাকির মোল্লা ছেলে।
নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন গোবরচাকা কেডিএ এভিনিউয়ের ১১৩ হোল্ডিংয়ের রাজু খাঁর বাড়িতে স্ত্রী স্বপ্না খাতুনকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন আবু বক্কর।
দুই থেকে আড়াই বছর আগে আবুবক্কার সোনাডাঙ্গা থানাধীন ওই বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে ওঠেন এবং নগরীর ৫নং ঘাট এলাকার আল আকসা ট্রান্সপোর্ট এজেন্সিতে ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন।
বিচ্ছিন্ন মাথাটি একটি পলিথিনে মোড়ানো ছিল। এ ছাড়া দেহটি একটি বাক্সে আটকানো ছিল।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার সোনালী সেন জানান, আবু বক্কর একটি ট্রান্সপোর্ট কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
রবিবার সকালে তিনি কর্মস্থলে না যাওয়ায় ও মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় সহকর্মীরা তাকে খুঁজতে বাসায় যায়।
বাসাটি তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখার একপর্যায়ে তারা জানালা দিয়ে বিছানায় একটি বাক্স ও আশপাশে রক্ত দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পলিথিনে মোড়ানো মাথা ও একটি কাঠের বাক্সের ভেতর থেকে লাশ উদ্ধার করে।
এ সময় সেখান থেকে বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।
হত্যার পর শরীর থেকে মাথাটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
তবে কী কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে প্রাথমিকমভাবে পুলিশ তা জানাতে পারেনি।