খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ১১ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
বারাকপুর উত্তর পাড়া ৫নং ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর শেখের কন্যা
কানিজ ফাতিমা কেয়া, বারাকপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী।কিশোরীর বাবা জাহাঙ্গীর এই সংক্রান্ত বিষয়ে দিঘলিয়া থানায়একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।এ অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়ি একই এলাকায়।
কিশোরীর বাবার থানায় এজাহারের ভিত্তিতে জানা যায়, তার স্ত্রী দর্জি এবং কাপড়ের ব্যবসা করার সুবাদে প্রতিবেশী মৃত মতি শেখের ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর শেখ (৫০) তার স্ত্রীর জন্য বাকিতে কাপড় তৈরি করে।গত রবিবার (৩০ জানুয়ারি) বকেয়া টাকা পরিশোধের দিন থাকায় সন্ধ্যা আনুমানিক সোয়া ৬ টার দিকে বাদীর মেয়েকে জাহাঙ্গীরের বাড়িতে টাকা আনতে পাঠায়। এ সময় জাহাঙ্গীর তার মেয়েকে টাকা দেয়ার কথা বলে ঘরের ভিতরে ডেকে নিয়ে যায় ,এবং জোর করে ধর্ষণকরে। এই ঘটনার সময় জাহাঙ্গীর ছাড়া বাড়িতে কেউ ছিল না। এ সময় কিশোরীর আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসার আওয়াজ পেয়ে ধর্ষণ কারী জাহাঙ্গীর ওই কিশোরীর হাতে পাওনা টাকা দিয়ে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতিসহ এ ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করে, এবং হুমকি দিয়ে বলে- ‘এ বিষয় কাউকে যদি কিছু বলিস তাহলে তোকে মেরে ফেলবো’। ঘটনার কিছুক্ষণ পর ওই কিশোরী বাড়িতে এসে বকেয়া টাকা তার মায়ের কাছে দিয়ে ঘটনার বিষয়ে খুলে বলে, তারা নিরুপায় হয়ে নিকটাত্মীয়ের পরামর্শে ঘটনার দিন রাতেই স্বশরীরে দিঘলিয়া থানায় উপস্থিত হয়ে, জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসানউল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং ১৩। তাং ৩১/০১/২০২২।
ওসি তদন্ত রিপন কুমার সরকার এ প্রতিবেদককে বলেন ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।