খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে এলাকাবাসীর সহায়তায় ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ৩ কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। তারা সোমবার (২৮ মার্চ) অপরাধ স্বীকার করে
আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, স্কুল ছাত্রী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন। এঘটনায় দিঘলিয়া থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গতকাল সকাল আনুমানিক পৌনে ১০টার দিকে স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মেয়েটি তার সহপাঠিদের সাথে বাড়ি থেকে বের হয়। বেলা ১১টার দিকে জনৈক ব্যক্তির আমবাগানের দক্ষিণ পাশে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছালে মেয়েটির পূর্ব পরিচিত যুবক শান্ত (২১) ও তার অপর দুই বন্ধু মুন্না (১৭) এবং বিল্লাল (১৭) মেয়েটির গতিরোধ করে তাঁকে ভয় দেখায়। এসময় চড়-থাপ্পর মেরে মেয়েটিকে তাদের সঙ্গে যেতে বলে। মেয়েটি তাদের সঙ্গে যেতে রাজি না হলে শান্ত তার হাতে থাকা হাতুড়ি দিয়ে ভয়-ভীতি দেখায়। একপর্যায়ে মেয়েটিকে ভয় দেখিয়ে আমবাগানের ভিতর নিয়ে যায়। পরে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে শান্তর অপর দুই বন্ধু মুন্না এবং বিল্লাল মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে মেয়েটির আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। তাকে উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসান উল্লাহ চৌধুরী, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রিপন কুমার সরকারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাবাসীর সহায়তায় ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। খবর পেয়ে ঘটনার দিন দুপুরে খুলনা ‘ক’ অঞ্চলের সার্কেল অফিসার রাজু আহন্মেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কিশোরীটির মা বাদী হয়ে গণধর্ষণের অপরাধে দিঘলিয়া থানায় একটি মামলা (যার নং ১৯) দায়ের করেছেন। আসামীরা হল- স্থানীয় ইয়ারুক বিশ্বাসের ছেলে মোঃ শান্ত বিশ্বাস (২১), মোঃ সিরাজের ছেলে মুন্না (১৭) ও মিজান শেখের ছেলে বিল্লাল শেখ (১৭)।
ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রিপন কুমার সরকার জানান, দুই আসামীর বয়স ১৮ বছরের নিচে বিধায় তাদের অপরাধের বিচার শিশু আইনে হতে পারে। আসামীরা আজ সোমবার আদালতে অপরাধের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।