খুলনার কয়রা উপজেলার ৪নং মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মো: ইকবাল হোসেনকে বাড়ি থেকে পরিষদে ডেকে নিয়ে মারপিটের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৮ মার্চ) দুপুর ৩:১০ মিনিটের দিকে পুলিশের গাড়িতে করে তাকে কয়রা থানার দিকে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
এর আগে ইউপি সচিব ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে সোমবার(২৮ মার্চ) সকালে কয়রা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় চেয়ারম্যানসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। যার নং(১৬)
এরপর এ ঘটনায় কয়রা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রবিউল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের বাড়ি ঘেরাও করে। তবে তার বাড়ির প্রধান গেটে তালা থাকায় থানা পুলিশ ভেতরে প্রবেশ করতে পারছিলো না। তবে দুপুর ৩:১০ মিনিটের দিকে একটি পুলিশের গাড়িতে করে তাকে কয়রা থানার দিকে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
এরআগে, চেয়ারম্যানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে খুলনার ৬৮ ইউনিয়নের সচিব ও হিসাব সহকারীরা কর্মবিরতি পালন করেছেন এবং জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি জমা দিয়েছেন। এছাড়াও ২৩ মার্চ খুলনা প্রেসক্লাবে সচিব সমিতি, খুলনার পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
অপরদিকে, এ ঘটনাটি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের অপপ্রচার দাবি করে কয়রা প্রেসক্লাবে ২৩ মার্চ বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেন অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ সন্ধ্যায় সচিবকে পরিষদের একটি কক্ষে আটকে রেখে ওই চেয়ারম্যান বেধড়ক মারধর করছেন এমন কথা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
এ খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও ও ওসি তাৎক্ষণিক পরিদর্শনে আসেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস সচিবের কাছ থেকে নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে এমন লিখিত নিয়ে পরিবারের সাথে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
সর্বশেষ এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।