বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে নগরীর ব্যস্ততম এলাকা ডাকবাংলা এলাকার কয়েকটি মার্কেট ঘুরে ওমিক্রনের ব্যাপারে উদাসীনতা বেশ দেখা গেছে। অনেকেই মাস্ক মুখে না লাগিয়ে থুতনিতে বাঁধিয়ে ঘুরছে। সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে গিয়েও একই দৃশ্যের দেখা মেলে। কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের জটলা। কারো মুখে নেই মাস্ক। ছবি তুলতে গেলে অনেকেই তড়িঘড়ি করে মুখাবরণ পরে নিচ্ছে। হোটেলগুলোতে বাস্তবতার ভিন্ন চিত্র পরিলক্ষিত হয়। একে অপরের গায়ের সাথে লাগোয়াভাবে বসে খাওয়া দাওয়া করতে দেখা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে আগ্রহ দেখা যায়নি নগরীর খেয়া ঘাটগুলোতেও।
ডাকবাংলা মোড় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মার্কেটে কথা হয় রূপসা উপজেলার রামনগর এলাকার জিহাদের সাথে। সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তাকে তড়িঘড়ি করে মুখে মাস্ক পরতে দেখা যায়। ওমিক্রনের ভয়াবহতা সম্পর্কে জানতে চাইলে উত্তরে তিনি জানান, আল্লাহ যা করবেন সেটি সকলের মেনে নিতে হবে। মার্কেটে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন শুক্রবার বোনের বিয়ে উপলক্ষে সকলকে নিয়ে এখানে এসেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের চিত্র ভিন্ন। পাইকগাছাগামী একটি বাস অর্ধেক যাত্রী নিয়ে স্ট্যান্ড ত্যাগ করে। কিন্তু রাস্তা থেকে যাত্রী তুলতে তুলতে গল্লামারী স্ট্যান্ডে গিয়ে পরিপূর্ণ যাত্রী নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বাসের যাত্রীসহ বাসের ছবি তুলতে গেলে ওই পরিবাহনের চালক ও হেলপার রুঢ় আচারণ করেন।
চালানাগামী ‘মাতা পিতার দোয়া’ নামে একটি বাস সোনাডাঙ্গা থেকে রওনা হয়। গল্লামারী এসে দেখা যায় একই অবস্থা। চালক হালিম বলেন, সরকার ভাড়া বাড়ায়নি। কিন্তু যাত্রী অর্ধেক নিয়ে চলতে বলেছে। কিন্তু রাষ্ট্রপ্রধানের কথা মানলে পেট মানবে না, সাথে মালিকও বাঁচবে না।
পত্রিকাবাহী একটি মাইক্রোবাস সোনাডাঙ্গা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে দুপুর ১ টার দিকে ছেড়ে যায়। সেখানে ১৪ টি আসনেই যাত্রী ছিল তাও আবার গাদাগাদি করে। বসাকে কেন্দ্র করে দু’ যাত্রীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। পরে চালকের হস্তক্ষেপে মিমাংসা হয়।
অধিক যাত্রী নিয়ে গাড়ি ছাড়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে চালক বলেন, বেতন যা পাই তা দিয়ে সংসার চলে না। তা ফিরতি পথে বাড়তি আয়ের জন্য এ পন্থা অবলম্বন করা তার।