ঢাকার ধামরাইয়ে গরু চুরির মামলায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেত্রী বাবলী আক্তারকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নিকট সুপারিশও করা হয়েছে। বাবলী আক্তার ঢাকা জেলা (উত্তর) ছাত্রলীগের ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা জেলা (উত্তর) ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনিরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাবলী আক্তার সাভার পৌরসভার নয়াবাড়ি এলাকার বাদশা মিয়ার মেয়ে এবং সাভার সরকারি কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের (অনার্স) তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, চোরেরা বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু চুরি করে তার হেফাজতে রেখে বিক্রি করতেন। বুধবার ভোর রাতে সেই গরু চুরির মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে ধামরাই থানা পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত বাবলী আক্তারের সঙ্গে তার এক বন্ধু শামিমের মাধ্যমে গরু চোরদের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর থেকে চোরাইকৃত গরু তার নিজ বাড়িতে নিজের হেফাজতে রেখে বিক্রি করতেন। এ পর্যন্ত পাঁচটি গরু তার হেফাজতে রেখে বিক্রি করেছেন। এছাড়া সর্বশেষ একটি ষাঁড় গরু জবাই করে কসাইয়ের কাছে মাংস বিক্রি করেছেন বলেও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে বাবলী আক্তার। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।

গরু চুরির মামলায় বাবলী আক্তার গ্রেপ্তারের বিষয়ে ঢাকা জেলা (উত্তর) ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম বলেন, বাবলী আক্তার ঢাকা জেলা (উত্তর) ছাত্রলীগের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে তার পদ থেকে বুধবার সন্ধ্যায় অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ জানিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছে পত্র দেওয়া হয়েছে।