চট্টগ্রাম নগরে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকায় মো. নাছির উদ্দিন (৪৩) নামে এক যুবককে আটক করেছে র্যাব। এসময় তার কাছ থেকে তিন হাজার সিমসহ ভিওআইপির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
সোমবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় পাঁচলাইশ থানার মোহাম্মদপুর এলাকার বহুতল ভবন ইসমাম টাওয়ারের ৫ম তলার দক্ষিণ দিকের ফ্ল্যাট থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক নাছির উদ্দিন লোহাগাড়ার ভবানীপুরের বড় হাতিয়ার আব্দুল মোনাফের ছেলে।
র্যাব জানায়, বিদেশ থেকে টেলিফোন কল আসা ও যাওয়ার পরিমাণ বাড়লেও সরকার অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ীদের জন্য কর থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বর্তমানে বৈধ পন্থায় আন্তর্জাতিক কল আসছে প্রতিদিন আনুমানিক প্রায় দুই কোটি মিনিট। এর মধ্যে ৬০ লাখ থেকে ৭০ লাখ মিনিট কল আসছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম প্রতিষ্ঠান বিটিসিএলের ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডাব্লিউ) দিয়ে। আর বাকিটা আসছে বেসরকারি আইজিডাব্লিউ অপারেটর ফোরামের (আইওএফ) মাধ্যমে। অন্যদিকে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন কোটি মিনিট কল এখনো ভিওআইপির অবৈধ কারবারিদের মাধ্যমেই আসছে। যার কারণে সরকার কর থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দেশের কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা করে আসছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে পাঁচলাইশ থানার মোহাম্মদপুর এলাকার বহুতল ভবন ইসমাম টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে নাছির উদ্দিনকে আটক করা হয়। এসময় তার কক্ষ থেকে ৬টি অত্যাধুনিক ভিওআইপি ব্যবসার এন্টিনা যুক্ত মেশিন, দুই হাজার ৮৩০টি টেলিটক সিম, ১৬৫টি এয়ারটেল সিম, ১টি ল্যাপটপ, ৪টি মোবাইল, ৬টি পাওয়ার সাপ্লাই, ৩টি মাল্টিপ্লাগ, ৬টি চার্জার, ২টি মডেম, ২৩টি ক্যাবল, ৩টি রাউটার, ৫টি আইপি, ১টি এয়ারকুলার, ২টি মাউস, ১৬০টি খোলা এন্টিনা, ২৫০টি সিমের খালি প্যাকেট, ১টি নোস প্লাস, ২টি স্ক্রু ডাইভার এবং ১টি টেপকাটার জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৮২ লাখ টাকা।
আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।