গেল ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামের একুশে বই মেলা থেকে ‘আনসার আল ইসলাম’র এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তার একমাস না পেরুতেই মার্চের মাঝামাঝিতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে র্যাবের হাতে ধরা পড়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের আরেক সক্রিয় সদস্য মো. ওমর ফারুক (২২)। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চট্টগ্রামের পৃথক দু’টি এলাকায় হলেও ধরা পড়া দুইজনই আনসার আল ইসলামের সদস্য। তাদের বয়স বিশের কৌটায়।
এদিকে হাটহাজারী থেকে গ্রেপ্তার ফারুক অকপটে স্বীকার করেন, ‘আনসার আল ইসলাম’র আধ্যাত্মিক নেতা জসিম উদ্দিন রহমান ও তামিম আল আদনানী’র বয়ান শুনে জঙ্গি কার্যক্রমে জাড়িয়ে পড়েন তিনি।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাব। পরে শনিবার (১৯ মার্চ) র্যাবের পক্ষ থেকে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
গ্রেপ্তার মো. ওমর ফারুক হাটাহাজারী উপজেলার মো. জানে আলমের ছেলে।
র্যাব জানায়, তাদের কাছে তথ্য ছিল নাশকতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা ও সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য হাটহাজারীতে জড়ো হচ্ছে ‘আনসার আল ইসলামের’ সদস্যরা। এ তথ্যের ভিত্তি করে সেখানে অভিযান চালায় র্যাবের একটি বিশেষ দল। এসময় উগ্রবাদী ১০টি বই এবং ৫৩টি লিফলেটসহ র্যাবের হাতে ধরা পড়ে ওমর ফারুক। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক স্বীকার করে আধ্যাত্মিক নেতা জসিম উদ্দিন রহমান ও তামিম আল আদনানী’র বয়ান শুনে, ইন্টারনেটে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে, বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল দেখে ও উগ্রপন্থী বিভিন্ন বই পড়ে জঙ্গীবাদে জড়িয়ে পড়েন তিনি। পরে ফেসবুকে ‘সমমনা’ লোকজন বেছে নিয়ে চালানো হতো দাওয়াতের কার্যক্রম। নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষায় ব্যবহার হতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
এর আগে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত একুশে বই মেলায় গ্রেপ্তার হয় মো. রুমেল (২২) নামের এক যুবক। তিনি থাকতেন চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকায়, সেখানে একটি কারখানায় তিনি কাজ করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।