বাংলাদেশে আর্থিক প্রতারণার ব্যাপারে প্রতারকদের শেষ পরিণতি কী?তারা কী শাস্তি কি?তারা শাস্তি পায়।আর শাস্তি পেলেও প্রতারিত কী তাদের টাকা ফেরত পান?আইনে প্রতারিতদের জন্য কী ব্যবস্তা আছে?
বাংলাদেশ সরকারের বিশ্ব মানবতার জননী বঙ্গকণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সভানেত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা মমতাময়ী ডিজিটাল দেশ গড়ার কারিগর আমাদের সকলের অভিভাবক মানবতার নেত্রী শেখ হাসিনা।যখন দেশকে মধ্যময় দেশে রুপান্তরিত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।ঠিক তখনই কতিপয় কিছু প্রতারক দেশে আনাচে কানাচে নানা সমস্যার সৃষ্ঠি করছে।এমনই দুইজন প্রতারকের সন্ধানের খবর মিলেছে যশোর মনিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমারঘাটা গ্রামের রফিকুল ফকিরের পুত্র রোস্তম ফকির (৩২) ও গোপালগঞ্জ টংগীপাড়া উপজেলার পাটগাতী ইউনিয়নের গিমাডাঙ্গা গ্রামের বারিক সরদারের পুত্র আমিনুল ইসলাম (৪৮)।
গতকাল সরেজমিনে মনিরামপুর মনোহরপুর ইউনিয়নে কুমারঘাটা গ্রামে প্রবেশ করলে এলাকার একাধিক ব্যাক্তির সাক্ষাৎকালে বেরিয়ে আসে অনেক অজানা তথ্য।দুই মহাপ্রতারক প্রায় এক বছর এলাকা থেকে লাপাত্তা।
ভূক্তভোগী নজরুল ধাবক ও এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাক্তিরা জানান,ব্যবসা ও ভালো চাকরি দেবে বলে দুই প্রতারক প্রথমে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় ২০১৯ সালে।কিছুদিন অতিবাহিত হলে দুই মহাপ্রতারক আবার ফেসবুকে নেতা মন্ত্রী ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে নতুন কৌশল অবলম্বন করে চাকরি দেয়ার কথা বলে আরও ধাপে ধাপে ১৫ লক্ষ্য টাকা।মোট ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নজরুলের পরিবারকে করেছে সর্বশান্ত।টাকা ফেরত আজ দিবে কাল দেবে এইভাবে কালক্ষেপণ করে আসছে।ব্যবসার টাকা ও চাকুরির টাকা ফেরত চাইতে গেলে জীবন নাশের হুমকি এবং তাদের বিরুদ্ধে কোন।দুই প্রতারকের প্রায় ৪০ টি মোবাইল সিম রয়েছে যা বতর্মানে সবগুলো বন্ধ।নির্ভরযোগ্য সুত্র থেকে জানা যায় প্রতারক আমিনুল সরদারের তিনটি স্ত্রী।টাকার বিষয়ে তিন স্ত্রী ও মাতা অবগত আছেন বলে জানা যায়।নজরুল ধাবক জানান,আমার পরিবারের উপর যে কোন সময় হামলা হতে পারে এবং মৃত্যু হতে পারে।তবে এর জন্য দায়ী থাকবেন প্রতারক গোপালগঞ্জ টংগীপাড়া উপজেলার পাটগাতী ইউনিয়নের গিমাডাঙ্গা গ্রামের বারিক সর্দারের পুত্র আমিনুল সরদার ও মনিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমারঘাটা গ্রামের রফিকুল ফকিরের পুত্র রোস্তম আলী ফকিরের চক্রটি।এমন আশঙ্কা করছেন এলাকার সচেতন মহল।
অবশেষে নিরুপায় হয়ে ভূক্তভোগী নজরুল ইসলাম ধাবক যশোর বিজ্ঞ আমলী আদালতে চক্রটিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।যার নং-সি আর ৪৪০/২০২২খ্রি:।তারিখ-১৪/০৬/২০২২ ইং।মামলাটি বর্তমানে পিবিআই তদন্তে রয়েছে।