
পরকীয়ার বলি হলো আত্নহত্যা কারি ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি পিন্টু, সাংবাদিক কুদ্দুসের চাঁদা দাবির অভিযোগ, ডিভোর্সী এক মুসলিম নারির সাথে ছিল পরকীয়া।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, নরনিয়া কাশেম সরদারের মেয়ে ডিভোর্সী কোহিনুর ওরফে করিমুন নেছা (৩৫) এর সাথে তালা থানার গঙ্গারামপুর গ্রামের নারায়ণ বসুর ছেলে বর্তমান মালতিয়া গ্রামের বাসিন্দা পিন্টু বসু(৪৭) সাথে দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ পরকীয়া প্রেম চলে আসছিল।বিষয় টি নিরসনের করতে গত ৭ জুলাই সকাল ৭ টার দিকে কোহিনুর ওরফে করিমুন নেছার নিকট অাত্নীয় স্বজন ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তি গন পিন্টু বসুর বাড়িতে যায়।
এ সময় স্থানীয় লোকজন পিন্টু বসুকে উদ্যেশ্য করে বলেন,আমাদের গ্রামের হিন্দু-মুসলিম মিলে মিশে চলি কোন দিন এমন ঘটনা ঘটেনি। তুমি পিন্টু আজকে মুসলিম ওই মহিলার সাথে পরকীয়া প্রেম করেছো, শুনাযাচ্ছে তাকে শাখা সিঁদুর পরিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া করে থাকছো। এটা ঠিক না পিন্টু। তোমারও ২ টা মেয়ে সন্তান আছে। তুমি এ সমস্ত বাদ দিয়ে তোমার সন্তানাদি নিয়ে তুমি সুখে শান্তিতে সংসার করো আমরা তায় চায়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ডাঃ মনিমোহন ঘোষ,পরিতোষ কুন্ডু, রতন ঘোষ,মোসলেম উদ্দীন বুলু,মালেক শঙ্কর ঘোষ, কনক, তাপস কুন্ডু, নেপাল ঘোষসহ মহল্লার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।এরপর তারা পিন্টুর বাড়ি ত্যাগ করে চলে যায়।
নিহত পিন্টু বসুর স্ত্রী রিংকু বসু (৪২) সহ পরিবারের লোকজন কান্না বিজড়িত ভাবে বলেন,বেলা ১২ টার দিকে সাংবাদিক নামের যোমরাজ এসেছিল বাড়িতে । তারা কতিথ সাংবাদিক গাজী আব্দুল কুদ্দুস,গৌতম রাহা,শংকর ঘোষসহ তিন জন।
পিন্টু বসুর পরকীয়ার তথ্য সংগ্রহ করতে। এসময় বহুল আলোচিত বির্তিকিত ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দীর্ঘদিন কারাভোগ কারি এবং একাধিক মামলার আসামি
সাংবাদিক গাজী আব্দুল কুদ্দুস ভয়ভীতি হুমকি ধামকি দিয়ে পিন্টু বসুর কাছে ১৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্যথায় বড় ধরণের প্রতিবেদন করে দেয়া হবে। তাতে মানসম্মান নিয়ে টানা টানি পড়বে।
টাকার কথা শুনামাত্র হতাশায় পড়ে যায় পিন্টু । একে মান সন্মান নিয়ে টানাটানি? তারপর টাকা দিতে হবে? তাও আবার ১৫ লাখ? কোথায় পাবো এত টাকা?
এসময় সাথে থাকা অন্য দুই জন সাংবাদিক তারা কোন কথা বলেননি বলে জানাগেছে। টাকা না পেয়ে সাংবাদিকগন ওই বাড়ি ত্যাগ করে চলে যায়।
এর ১০ মিনিট পর পিন্টু বসু নিজ শয়ন কক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় রশি দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
এপ্রসংগে সাংবাদিক গাজী আব্দুল কুদ্দুস বলেন,টাকা চেয়েছে সকলে যারা শালিস করেছে তারা। আমি কোন টাকা চায়নি। আর যারা টাকা চেয়েছে তার সকল ডকুমেন্টস আমার কাছে আছে।
ডুমুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ কনি মিয়া বলেন,এ ব্যাপারে অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। কারো কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।