বাংলাদেশ থেকে অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব নির্মূল, অপুষ্টিজনিত শিশু মৃত্যু প্রতিরোধ এবং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি সারাদেশের ন্যায় খুলনায় দুই লাখ ৯৭ হাজার পাঁচ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা সামছুর রহমান রোডস্থ স্কুল হেলথ ক্লিনিকের সম্মেলনকক্ষে খুলনার সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন খুলনার সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদ।
কর্মশালায় সিভিল সার্জন জানান, সকাল আটটা থেকে একটানা বিকেল চারটা পর্যন্ত ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে এবং এ সাথে শিশুকে শালদুধ খাওয়ানোসহ স্বাস্থ্যবার্তাসমূহ প্রচার করা হবে। ৬ মাস থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত যেহেতু শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো যায় না তাই এ সময়টাতে সম্পূরক ভিটামিন হিসেবে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়ে থাকে। এতে করে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। তিনি জনজীবনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এমন কোন সংবাদ পরিবেশন না করা এবং জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার জন্য সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা করেন। তিনি আরও জানান, ১০জন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে সাতজন মৃত্যুবরণ করেছে। সিভিল সার্জন নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে কাঁচা রস পান না করার পরার্মশ দেন।
ঐদিন খুলনায় ৬-১১ মাস বয়সী সকল শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লাখ আইইউ) এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লাখ আইইউ) খাওয়ানো হবে। এবছর খুলনা জেলার নয়টি উপজেলার এবং দুইটি পৌর সভাসহ এক হাজার সাতশত ১৮টি কেন্দ্রে মোট ১ লাখ ৮৭ হাজার ১শ ৬৪ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ২২ হাজার নয়শত ৩৪ এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ১ লাখ ৬৪ হাজার দুইশত ৩০জন। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডের সাতশত ১০টি কেন্দ্রে এক লাখ নয় হাজার আটশত ৪১ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ১২ হাজার সাতশত চার এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ৯৭ হাজার একশত ৩৭জন।
কর্মশালায় কেসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ডাঃ স্বপন কুমার হালদার, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোঃ মেহেদী হাসান, প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ এএসএম কামাল হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক মকবুল হোসেন মিন্টু প্রমুখ বক্তৃতা করেন। কর্মশালায় খুলনায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।