ঝিনাইদহ জেলা কারাগার থেকে মফিজ (৩৬) নামের এক কয়েদির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রবিবার সকাল ১১টার দিকে কারাগারের কপোতাক্ষ ওয়ার্ডের ৩নং সেলের সৌচাগারে এই ঘটনা ঘটে।
কারা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে এটি আত্মহত্যা। কয়েদি মফিজ শৈলকুপার বাগুটিয়া গ্রামের মুজিবর রহমানের ছেলে। উল্লেখ্য সে ২০২২ সালের জানুয়ারির ২১ তারিখে ২০১৬ সালের একটি যৌতুক মামলায় (মামলা নং সিআর ৮৪/২০১৬) ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আসে।
ঝিনাইদহ জেলা কারাগারের জেলার মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, মফিজ (৩৬) নামের এক কয়েদি আত্মহত্যা করেছে। সে শৈলকুপা উপজেলার বাগুটিয়া গ্রামের মুজিবরের ছেলে। ১১টার দিকে টয়লেটের গ্রিলের সাথে গামছা দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় অন্য বন্দিরা তাকে দেখতে পেলে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
কারাগারে এত নিরাপত্তার ভিতরে কিভাবে আত্মহত্যা করল এমন প্রশ্ন আসছে আইনজীবীদের মধ্য থেকে। তবে এটি আসলেই আত্মহত্যা নাকি হত্যা সেই প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে। জেলার রফিকুল ইসলামের অফিসিয়াল মোবাইলে কল দিয়ে হত্যা নাকি আত্মহত্যা জানতে চাইলে একজন ফোন রিসিভ করে বলে, জেলার স্যার কারাগারের ভিতরে রয়েছেন বলে ফোন রেখে দেওয়া হয়। তার পরিচয় জানতে চাইলে বলেন, আমি কারাগারের লোক। কারাগারে সরাসরি খোঁজ নিতে গেলে সংবাদ কর্মীদের এড়িয়ে যান কারা কর্তৃপক্ষ।
লাশ ময়না তদন্তের জন্য রবিবার সকাল ১১টার পরেই ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে কারা সূত্র। এই ঘটনার পরে দায়িত্বশীল বিভিন্ন দপ্তর কারাগার পরিদর্শন করেছে বলে জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আসামি মফিজ জেল খানার ভিতরে রান্নার চালিতে কাজ করত।