ডুমুরিয়া উপজেলার আমুড়বুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়ােগ পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযােগ উঠেছে।এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষকসহ নিয়োগ বোর্ডের অন্যান সদস্যদের বিরুদ্ধে আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়ের সাধাণর অভিভাবক,নিয়োগ পরীক্ষায় দূর্ণীতি ও অনিয়মের কারণে বঞ্চিত প্রার্থীসহ এলাকার কিছু সচেতন নাগরিক স্বচ্ছতার মাধ্যমে পুনরায় নিয়াগ পরীক্ষা অনুাষ্ঠানের দাবী জানিয়ে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছেন। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন,উপজেলার মাগুরখালী ইউনিয়নের আমুড়বুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একজন করে অফিস সহকারী, নৈশপ্রহরী, আয়া ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়ােগ পরীক্ষা গত ২৩ এপ্রিল খুলনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগ প্রত্যাশী প্রার্থী দীপক মন্ডল,মিশন মন্ডল ও আইভি রায় বলেন, আমুড়বুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়ােগ পরীক্ষা গ্রহন অসৎ উদ্দশ্যে স্কুলে বা উপজেলা সদরে না নিয়ে খুলনায় নেয়া হয়েছে । স্কুলের সভাপতি,প্রধান শিক্ষকসহ অন্যানরা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের কাছ থেকে মােটা অংকের উৎকােচে নিয়ে তাদেরকে নিয়ােগর জন্য মনােনীত করেছেন। আমরা নিয়োগ পরীক্ষার নামে এ ‘সাজানাে নাটক’ বাতিল পূর্বক স্বচ্ছতার মাধ্যমে পুনঃপরীক্ষা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি। এদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ব্যবহৃত মােবাইল ফােন বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে সহকারী প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণপদ মন্ডল জানান, ‘নিয়ােগের বিষয় আমি কোন অথরিটি নই। আমাকে বিনা কারণে দােষারােপ করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে মিছিল করেছে। আমি বারবার বলছি সবকিছু জানেন প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয় ম্যানজিং কমিটির সভাপতি মনিমােহন রায় জানান, তিনি শারীরিকভাব খুবই অসুস্হ। আমাকে না জানিয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়ােগ পরীক্ষা স্কুলে না নিয়ে খুলনাতে করেছে। তবে এখন শােনা যাচ্ছে নিয়ােগ পরীক্ষায় অনিয়ম হয়েছে। আমি এর কিছুই বলত পারবাে না। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সেখ ফিরােজ আহম্মেদ জানান, নিয়ােগ বাের্ডের সিদ্ধান্তে খুলনা সরকরি মডেল স্কুলে নিয়ােগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষায় ২৪জন প্রার্থীর মধ্যে ২২জন প্রার্থী অংশ গ্রহন করে। তিনি আরো বলেন, নিয়ােগ পরীক্ষা স্বচ্ছতার সাথে অনুষ্ঠিত হয়েছে।