1. admin@dainikmanobadhikarsangbad.com : admin :
ডুমুরিয়ার হাতিটানা নদীতে নেট-কারেণ্টজাল উচ্ছেদ অভিযান - দৈনিক মানবাধিকার সংবাদ
২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| শনিবার| রাত ৩:২৮|

ডুমুরিয়ার হাতিটানা নদীতে নেট-কারেণ্টজাল উচ্ছেদ অভিযান

মোঃ আক্তারুজ্জামান লিটন// খুলনা ব্যুরো।।
  • Update Time : বুধবার, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২,
  • 479 Time View

ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা-মাগুরখালী ইউনিয়নের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত বহুল আলোচিত হাতিটানা নদীতে(বদ্ধ) অবৈধ নেট-পাটা-কারেন্ট জাল অপসারণে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। 

আজ বুধবার দিন ব্যাপি উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আবু বক্কার সিদ্দিকীর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে বিপুল পরিমান নেট ও কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী বেহুন্দি ও অন্যান ক্ষতিকর অবৈধ নেট-পাটা-জাল নির্মূলে উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির উদ্যোগে ডুমুরিয়ার শোভনা ও মাগুরখালী ইউনিয়নের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হাতিটানা নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।প্রায় ৪/৫ কিলোমিটার লম্বা নদীতে অর্ধ শতাধিক স্থানে এলাকার এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তি অবৈধভাবে নেট-কারেন্ট জাল পেতে দীর্ঘদিন যাবৎ মাছ ধরে আসছে। এতে নদীতে পানি প্রবাহে বাঁধাগ্রস্ত হয়ে পলি পড়ে নদী-খাল ভরাট হতে থাকে। অপর দিকে এলাকাবাসীর উন্মুক্তভাবে মাছ শিকারের পথ সংকুচিত হয়ে পড়ে। যার ফলে স্থানীয় এলাকাবাসী এর প্রতিকার চেয়ে উপজেলা মৎস্য দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এরই প্রেক্ষিতে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর নেট-পাটা উচ্ছেদ করে জোয়ারের পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে নদীতে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে বিপুল পরিমানে নেট-কারেন্ট জাল উদ্ধার করে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করেন উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল কাদের, মাদারতলা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলামসহ অন্যান পুলিশ সদস্যবৃন্দ।
এ বিষয়ে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ আবু বক্কার সিদ্দিক বলেন, প্রবাহমান খালে নেট-পাটা-বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি করে মাছ ধরা সম্পূর্ন বেআইনী। জোয়ারের পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে বাঁধ ও নেট পাটা উচ্ছেদ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান,সম্প্রতি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনায় গত মাস থেকে চার ধাপে ২৮ টি উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে ডুমুরিয়া উপজেলার সমস্ত এলাকায় মাইকিং এর মাধ্যমে নদী-খাল অবৈধ ভাবে দখলকারিদের তাদের সরঞ্জামাদি সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। এর পরও যে বা যারা নির্দেশনা অমান্য করবেন তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা বা নিয়মিত মামলা দায়ের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এছাড়া মাগুরখালী ইউনিয়নের শুক নদীতে অচিরেই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি। © প্রকাশক কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত -২০২২

You cannot copy content of this page