র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদেও মাধ্যমে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি ট্রাকযোগে মাদকদ্রব্য গাঁজা বহন করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে কুমিল্লা হতে চট্টগ্রামের দিকে নিয়ে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৮ এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখ রাত ০৩.৪০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিন মডেল থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকায় পাঁকা রাস্তার উপর একটি বিশেষ চেকপোষ্ট স্থাপন করে আসামী ১। মোঃ ফারুক হোসেন (২৭), পিতা- মোঃ গাফ্ফার আলী, সাং- বেজুড়া, ২। মোঃ তমাল আহম্মেদ (১৮), পিতা- মোঃ সাজ্জাদ আলী, ৩। মোঃ ফরিদ কবির (২০), পিতা- মোঃ আনোয়ার হোসেন, সর্ব সাং- কর্নহার, থানা- কর্নহার, জেলা- রাজশাহীদের’কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের হেফাজতে থাকা এবং তাদের দেখানো মতে ট্রাকের ভিতর থাকা পাঁচটি পাটের বস্তায় ভিতর হতে ৮৩ কেজি গাঁজা, ০৩ বোতল বিদেশী মদ ও ০২ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারপূর্বক আসামীদেরকে গ্রেফতার এবং মাদকদ্রব্য বহনকৃত ট্রাকটি জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, তারা মূলত ড্রাইভিং পেশার আড়ালে দীর্ঘদিন যাবৎ সুকৌশলে মাদকদ্রব্য (গাঁজা, ফেন্সিডিল, মদ) কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গার মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট বিক্রয় করিয়া আসছে বলে স্বীকার করে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।