“যা খাবি খেয়ে নে, তোকে জীবনে শেষ করে দেবো”
এম এ ফয়সালঃ তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ কামরুল ইসলাম লাল্টুকে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় বাধন গোলদার (২২) নামের এক যুবক আটক হলেও পালিয়ে যাওয়া দুর্বৃত্তরা ফোনে আবারও হত্যার হুমকী দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী চেয়ারম্যান।
২৩ অক্টোবর সকালে খেশরা ইউনিয়ন পরিষদে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি বলেন, শনিবার আমার উপরে হামলা করে ১৫/২০ দুর্বৃত্ত¡ । এ সময় এলাকাবাসীর সহযোগীতায় হরিহরনগর গ্রামের আফজাল গোলদারের পুত্র বাধন গোলদারকে আটক করে পুলিশ। এরপর দুপুরের দিকে ০১৭০৬ ৫০১১২৮ নম্বর একটি মোবাইল থেকে আমাকে হত্যার হুমকী দিয়ে বলে “ আজ লোকজন চলে আসার কারণে তোকে জানে শেষ করতে পারলাম না, যা খাবি খেয়ে নে, তোকে আমি জীবনে শেষ করে দেবো” । এ দিকে থানা পুলিশের হাতে আটক বাধনকে গতকাল ২৩ অক্টোবর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২২ অক্টোবর শনিবার ১১ টার দিকে খেশরা ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামে চেয়ারম্যান লাল্টুর ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে ১৫/২০ দুর্বৃত্ত¡ তার উপর হামলা চালায়। এসময় চেয়ারম্যান লাল্টু ও তার ভাইপো মিলন (২৫) ও বাবুল (২৬) দুর্বৃত্ত¡দের হামলায় মারাত্বক আহত হয়েছে। চেয়ারম্যানের ভাইপো মিলন ও বাবুলকে তালা হাসপাতালে ভর্তি হয়।
খেশরা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম লাল্টু জানান, বিগত নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী রাজিব হোসেন রাজু এলাকার চিহ্নিত মাদক সেবী, একাধীক মামলার আসামীদের নিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে। রাজুর মদদে এই বাহীনি এলাকায় সন্ত্রাসের রামরাজত্ব কায়েম করেছে। তিনি এলাকায় শান্তি শৃংখলা রক্ষার্থে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
তালা থানা অফিসার (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে, একজনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।