প্রশাসন কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায়
তালায় ইভটিজারের হুমকীতে দশম শ্রেণীর ছাত্রীর পড়ালেখা বন্ধ হতে চলেছে!
তালার পল্লীতে ইভটিজারের নানা হুমকীর শিকার হয়ে দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী (১৪) র লেখাপড়া বন্ধ হতে চলেছে। বিষয়টি নিয়ে ঐ ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তালা থানাকে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু ১ মাস অতিবাহিত হলেও প্রশাসন কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবার হতাশ হয়ে পড়েছে।
এ দিকে ইভটিজারের নানা হুমকীর কারণে বিগত ১ মাস যাবৎ স্কুলে না গিয়ে মামার বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছে ঐ ছাত্রী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগে জানাযায়, তালার গঙ্গারামপুর-ঘোষনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীর ঐ ছাত্রী কে সুমন মাতব্বর (৩০) নামের এক যুবক স্কুলে যাওয়া-আসার পথে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। সুমন মাতব্বর গঙ্গারামপুরের বাজারের শামীমের স’ মিলের শ্রমিক সুমনের স্ত্রী সন্তান রয়েছে, সে খুলনার ফুলবাড়ী গেট এলাকার বাসিন্দা। সে বিগত প্রায় দু-বছর যাবৎ গঙ্গারামপুর বাজারের শামীমের স’ মিলে শ্রমিকের কাজ করে আসছে।
ঐ ছাত্রীর মা সেলিনা বেগম জানান, আগামী বছর (২০২৩ সালে) আমার মেয়ে এস এসসি পরীক্ষর্থী। কিন্তু ওদের ভয়ে আমার মেয়ের লেখাপড়া গত ১ মাস বন্ধ রয়েছে, ইভটিজারের ভয়ে মেয়েকে নিয়ে আমি পিত্রালয়ে অবস্থান করছি। তিনি আরও বলেন, অভিযোগ দেওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে পুলিশ থানায় ডেকে সুমনকে এলাকা ছেড়ে তার বাড়ীতে চলে যেতে বলে। এর পর স’ মিলের মালিক শামীম ১৫ দিন সময় নিলেও আজ ১ মাস অতিবাহিত হলেও আর কোন সুরাহ হয়নি, উল্টো ইভটিজার এবং মিল মালিকের লোকজন ঐ ছাত্রীর নামে নানা কুৎসা রটনা করছে, বলেও অভিযোগ করেন, সেলিনা বেগম।
এ বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত সুমন ভূল স্বীকার করে বলেন, স’মিল মালিক আমাকে যেতে দিচ্ছে না। স’ মিল মালিক মোঃ শামীম জানান, আমার অনেক কাজ পড়ে আছে, তাকে ছাড়লে আমার ক্ষতি হয়ে যাবে। আমি চেয়ারম্যানকে বলে মিমাংশা করে নিয়েছি।
তালা থানা এস আই সৈকত জানান, ঘটনাটি নিয়ে খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতে বসাবসি হয়। পরে ওসি স্যারের কাছ থেকে সময় নিয়ে গেছে।
তালা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম জানান, এটা তো মিমাংশা যোগ্য ঘটনা না। তার পরেও তাকে একটা সুযোগ দিয়েছিলাম, যদি সে মত কাজ না করে, তাহলে অবশ্যই মামলা হবে।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আমি থানাকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।