তালা উপজেলার আটারই ঢেঙ্গার বিল থেকে অর্ধ শতাধিক কোলা ব্যাঙ ধরে খাবার জন্য জীবিত অবস্থায় ব্যাঙ এর দুটো করে পা কেটে ব্যাঙ হত্যার দায়ে তালায় দু’ যুবকের ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা হয়েছে।
সরজমিনে যেয়ে ঘটনা সূত্রে যানা যায় তালা উপজেলার আটারই গ্রামের ছিদাম দাশ’র ছেলে আশুতোষ দাশ (১৮) এবং দুলাল দাশ’র ছেলে সরজিৎ দাশ(১৯) পাশ্ববর্তী ঢেঙ্গার বিলে রোববার সকাল থেকে বিপন্ন প্রজাতীর কোলা ব্যাঙ ধরা শুরু করে। এদিন সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় শত শত ব্যাঙ বিলের নতুন পানিতে প্রজনন ও ডিম ছাড়ার জন্য জড়ো হয়। এই সুযোগে আশুতোষ ও সরজিৎ পা’র মাংস ভক্ষনের জন্য শতাধিক ব্যাঙ ধরতে থাকে।
দুটো করে পা কেটে ব্যাঙ হত্যা
এসময় স্থানীয় কৃষকরা তাদের বাঁধা দিলে তারা কৃষকদের হুমকি প্রদান সহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
একপর্যায়ে দৈনিক মানবাধিকার সংবাদ এর সংবাদ কর্মী ও বন্যপ্রাণি অপরাধ নিয়ন্ত্রনে তালার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ওয়াইল্ডলাইফ মিশনের কর্মীরা ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক মানবাধিকার সংবাদের সম্পাদক শামিম খান, আজিজুর রহমান, ক্যামেরা ম্যান জমির উদ্দিন, ওয়াইল্ডলাইফ মিশনের সভাপতি সাংবাদিক জুলফিকার রায়হান, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ বিশ্বাস সহ সংগঠনের কর্মী শেখ সেলিম, রাকিব হুসেইন, ইউনুচ আলী ও শাহরিয়ার নাফিজ ঘটনার সংবাদ পেয়ে তৎক্ষনাত সেখানে যান।
তালা থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান সংবাদ পেয়ে সেখানে পুলিশ প্রেরন করলে এস.আই সৈকত মল্লিক ব্যাঙ শিকারীদের আটক সহ নির্মম হত্যার শিকার অর্ধ শতাধিক কোলা ব্যাঙ উদ্ধার করেন।
আশুতোষ দাশ ও সরজিৎ দাশ-ব্যাঙ হত্যা
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস ব্যাঙ শিকার ও হত্যার দায়ের বন্যপ্রানি অপরাধ নিয়ন্ত্রন আইনে আশুতোষ দাশ ও সরজিৎ দাশকে ১ হাজার টাকা করে ২ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন।
এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, ব্যাঙ পরিবেশের জন্য খুবই প্রয়োজন। ব্যাঙ ধরা, শিকার করা ও হত্যা করা বা খাওয়া আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। এধরনের অপরাধ না করার জন্য তিনি সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।