1. admin@dainikmanobadhikarsangbad.com : admin :
তালায় পরিত্যাক্ত স্থান থেকে গাঁজা গাছ উদ্ধারের ঘটনায় সরকারী কর্মচারীকে ফাঁসানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন - দৈনিক মানবাধিকার সংবাদ
২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| শনিবার| রাত ১০:১৪|

তালায় পরিত্যাক্ত স্থান থেকে গাঁজা গাছ উদ্ধারের ঘটনায় সরকারী কর্মচারীকে ফাঁসানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

এম এ ফয়সালঃ
  • Update Time : বুধবার, নভেম্বর ৯, ২০২২,
  • 233 Time View

উদোরপিন্ড বুধোর ঘাড়ে!

তালার কেসমতঘোনা গ্রামের চার্চ স্কুলের (খৃষ্টান মিশন) বাথরুমের পেছনের পরিত্যাক্ত স্থান থেকে গাঁজা গাছ উদ্ধার এবং পরবর্তীতে থানায় ডেকে নিয়ে সরকারী কর্মচারীকে ফাঁসানোর ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল ভুক্তভোগী দিদারুল মোড়ল কেসমতঘোনা-দেওয়ানীপাড়ায় (ঘটনাস্থলে) সাংবাদিকদের সৌজন্যে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

কেসমতঘোনা-দেওয়ানীপাড়া গ্রামের শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্থানীয় এলাহী বক্স মোড়লের পুত্র, তালা বিদে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী দিদারুল ইসলাম বলেন, বিগত ৪/৫ মাস পূর্বে চারা মাছ উৎপাদনের জন্য ৪/৫ বিঘার মৎস্য ঘেরটি ডিড নিই। ঘেরটি পূর্বপাশে একটি চার্চ (খৃষ্টান মিশন) স্কুল এবং চতুর্পাশেই প্রায় বাড়ীঘর রয়েছে। গত ৪ নভেম্বর দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিশনের বাথরুমের পরিত্যক্ত জায়গা থেকে তালা থানা পুলিশ গাঁজা গাছ উদ্ধার করে। যে জায়গাটি থেকে গাছ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে যাতয়াতের কোন পথ নেই, সেটি আমার ঘেরের ভেড়ীবাঁধের মধ্যেও না। তিনি বলেন, আশ্চার্যের বিষয়, আমি ঘের নিয়েছি ৪/৫ মাস আগে, আর গাজা গাছটির বয়স এক থেকে দেড় বছর। তার পরেও স্থানীয় কুচক্রী মহালের ইন্দনে আমাকে ফাঁসানোর হয়েছে। তিনি আরও বলেন, উদোরপিন্ড বুধোর ঘাড়ে বসাতে স্থানীয় মফিজুল মাষ্টারের ছেলে জেমবির সদস্য শরীফ ও জেলা শিক্ষা অফিসের সুইপার আজহারুল সহ এলাকার একটি কুচক্রী মহাল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। তারা ইতি পূর্বে বাজারে অবস্থিত আমাদের রাইচ মিল লুটের ঘটনায় জড়িত।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত চার্চ স্কুলের শিক্ষক শিমন সরকার ও তার ভাই শ্রীপদ সরকার জানান, স্কুলের সাথেই আমার বাসা, স্থানটি চার্চ স্কুলের, তবে পরিত্যাক্ত, ঐ খানে যাতয়াতের কোন রাস্তা না থাকায় কেওই যান না, দিদারুল কেও কখনও আসতে দেখিনি । গাছটি কিভাবে আসলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই না।
উপস্থিত ইউপি সদস্য ইয়াছিন আলী, সাবেক ইউপি সদস্য সেকেন্দার মোড়ল, জুলফিকার শেখ (৫৫), খোরশেদ মাহমুদ (৬৫), গফুর বিশ্বাস (৪৫),আজহারুর (বিশ্বাস (৩০) সুনতান বিশ্বাস (৫৫ ইয়াছিন সরদার (৬০) মনিরুল বিশ্বাস (৫০), ছালেহা বেগম (৫০),পারুল বেগম (৫৫) অঞ্জু সরকার (৪০), সহ এলাবাসী জানান, গাঁজা গাছ লাগানো বা উদ্ধার করার ঘটনায় আমরা হতবাক, চারিপাশে বাড়ীঘর, যাতয়াতের রাস্তা নেই, সেখানে কিভাবে গাছটি আসলো? আর দিদার মোড়ল তো চাকুরী তে ব্যাস্ত, সে কখনো ঘেরে আসেন না, ঘেরের ভেড়ীর কলা-সবজি আমরাই কেটে তার বাড়ীতে দিয়ে আসি। এটা ষড়যন্ত্র ।

ঘের মালিক দিদারুল মোড়ল, আমার ঘেরের পূর্ব সীমানা সংলগ্ন মিশনের বাথরুমের পিছন থেকে গাছ উদ্ধার করার খবর শুনে বিস্তারিত জানতে আমি সৎ সাহস নিয়ে থানায় গিয়েছিলাম, কিন্তু পুলিশ আমাকে গাঁজা সহ আটক দেখিয়ে কোর্টে চালান দিয়ে দিলো ! আমি ও আমার পরিবার আজ পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের কাছে, অসহায় ।

ভুক্তভোগী দিদারুল মোড়ল সহ উপস্থিত কেসমতঘোনা-দেওয়ানীপাড়া গ্রামের শত শত মানুষ গাঁজা উদ্ধারের ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি। © প্রকাশক কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত -২০২২

You cannot copy content of this page