যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় নিখোঁজ কলেজছাত্র ইকরামুল হোসেনের (২০) বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করেছে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)।
ইকরামুল উপজেলার ভরতপুর (নোয়ালি) গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে।৩১ মার্চ (বৃহস্পতিবার) পিবিআই’র একটি দল উপজেলার মুড়োগাছা-মদনপুর গ্রামের একটি ডোবার কিনারা থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় মাটির নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।গত সোমবার ওয়াজ মাহফিলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন ইকরামুল। এ ঘটনায় ইকরামুলের মা রেশমা খাতুন মঙ্গলবার মণিরামপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পিবিআই জিডি বুনিয়াদে ছায়া তদন্ত করে।এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ভরতপুর গ্রামের আমিনুর রহমান নামের এক যুবককে আটকের পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পিবিআই-এর একটি দল ইকরামুলের মরদেহ উদ্ধার করে।নিহত ইকরামুলের চাচা আসাদুজ্জামান জানান, ইকরামুল এবার রাজগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তি মশ্মিমনগর গ্রামে ওয়াজ মাহফিলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর গভীর রাত হলেও বাড়ি না ফেরায় মা রেশমা খাতুন ছেলে ইকরামুলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও সেটি বন্ধ পান। পরদিন রেশমা খাতুন মণিরামপুর থানায় জিডি করেন। এরপর পিবিআই অফিসে গিয়ে ঘটনা জানান।
ওসি (পিবিআই) হিরন্ময় সরকার জানান, ভিকটিমের মা রেশমা খাতুন মণিরামপুর থানায় জিডি করার পরদিন পিবিআইকে অবহিত করেন। পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিনের নেতৃত্বে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে মশ্মিমনগর গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে আমিনুর রহমানকে আটক করা হয়। একই সাথে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমিনুর রহমানের ভাই কামরুল ইসলাম এবং আব্দুল কাদেরের ছেলে মেহেদি হাসানকে আটক করা হয়। আটক আমিনুর রহমানের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এবং আমিনুরের দেখানো জায়গা থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় মাটির নিচ থেকে ইকরামুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আমিনুর তাদেরকে জানিয়েছে- গলায় তার পেচিয়ে শ্বাসরোধে ইকরামুলকে হত্যা করা হয়েছে।কি কারণে এমন খুনের ঘটনা ঘটেছে তা আরও তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে বলে জানান পিবিআই’র ওই কর্মকর্তা। তবে, অর্থ লেনদেন, পরকীয়া প্রেমজ সম্পর্কের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে পিবিআই প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।এ বিষয়ে মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর ই আলম সিদ্দিকী জানান, এ ঘটনায় থানায় জিডি হয়েছিলো। বর্তমানে মামলার প্রস্তুতি চলছে।