নীলফামারী সদর গোড়গ্রাম ইউনিয়নে মুরগির খামারের বিদ্যুতের ফাঁদে পরে একটি চিতাবাঘের মৃত্যু হয়। ১৭ মার্চ, রাতে সদর উপজেলার চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের কাঞ্চনপাড়া এলাকায় চিতাবাঘটি ফাঁদে আটকে পরে।
রংপুর বন বিভাগের বন কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সিংহ বলেন, ‘চিতার আক্রমণ থেকে বাঁচতে আপাতত কয়েক দিন ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। এ রকম বাঘ এই এলাকায় আসে না। ক্ষুধার্ত অবস্থায় ছিল।’
নীলফামারী সদরে চিতা বাঘের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কিছুদিন ঘর থেকে বের না হতে স্থানীয়দের পরামর্শ দিয়েছে বন বিভাগ।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রংপুর বন বিভাগের বন কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সিংহ শুক্রবার দুপুরে নিউজবাংলাকে এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘চিতার আক্রমণ থেকে বাঁচতে আপাতত কয়েক দিন ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। এ রকম বাঘ এই এলাকায় আসে না। ক্ষুধার্ত অবস্থায় ছিল। তার সঙ্গে আরও একটি বাঘ আছে, যেটি স্থানীয়রাও বলেছেন। এ কারণে সতর্ক থাকতে হবে।
‘আমরা ভুট্টা খেতে থাকা আরেকটি বাঘ সন্ধানে কাজ শুরু করেছি। এই বাঘগুলো ভারত থেকে এসেছে।’
সদর উপজেলার চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের কাঞ্চনপাড়া এলাকা থেকে শুক্রবার ভোরে মৃত চিতাটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, কাঞ্চনপাড়ার অলিয়ার রহমান মুরগি ব্যবসায়ী। প্রায়ই কোনো প্রাণী তার খামারের মুরগি খেয়ে যায়। এ কারণে তিনি খামারের পেছনে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে রাখেন। বৃহস্পতিবার রাতের কোনো একসময় ফাঁদে জড়িয়ে চিতাটির মৃত্যু হয়।
অলিয়ার জানান, ‘আমার খামারের পেছন দিকে জঙ্গল। মুরগি বাঁচাতে ওদিকে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পাতা ছিল। আজ ভোরে চিৎকার শুনে দেখি বাঘ পড়ে’ নীলফামারী সদরে চিতা বাঘের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কিছুদিন ঘর থেকে বের না হতে স্থানীয়দের পরামর্শ দিয়েছে বন বিভাগ।
শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রংপুর বন বিভাগের বন কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সিংহ
তিনি বলেন, ‘চিতার আক্রমণ থেকে বাঁচতে আপাতত কয়েক দিন ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। এ রকম বাঘ এই এলাকায় আসে না। ক্ষুধার্ত অবস্থায় ছিল। তার সঙ্গে আরও একটি বাঘ আছে, যেটি স্থানীয়রাও বলেছেন। এ কারণে সতর্ক থাকতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন নাহার বলেন, ‘বাঘটি ক্ষুধার্ত ছিল, এমনটি জানা গেছে। আপাতত খামারের বেশ কিছু এলাকায় লাল পতাকা টাঙিয়ে সতর্ক করা হয়েছে, যাতে কেউ না আসে। লোকজনকেও নিরাপদে থাকতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।’