চার মাস ছয় দিন খোলার পর ছোট বড় ১৫ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে, কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে।
শনিবার ১২ মার্চ ২২ ইং সকালে মসজিদের ৮টি দানবাক্স খোলার মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী টাকা গণনার কাজ শুরু হয়েছে।কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাজমুল ইসলাম সরকারসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ও পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দিন ভূঁঞা সহ কর্তৃপক্ষের লোকজনের তদারকিতে চলছে টাকা গণনার কাজ। তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবক্স খোলা হলেও এবার খোলা হয়েছে চার মাস ছয় দিন পর।
গত বছরের ৬ নভেম্বর মসজিদের দানবক্স খুলে গণনার পর ৩ কোটি ৭ লাখ ১৭ হাজার ৫৮৫ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়াও স্বর্ণ ও রূপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া যায়।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিমে নরসুন্দা নদীর তীরে চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে জানা যায়।মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষ খানে মানত করেন। দানবক্সে পাওয়া টাকা সাধারণত কমিটি, জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীলদের পরামর্শে বিভিন্ন মসজিদে দান-খয়রাত, মাদরাসার উন্নয়নসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়ে থাকে।