1. admin@dainikmanobadhikarsangbad.com : admin :
পাবজি গেম, পর্নোগ্রাফি এবং বিভিন্ন নিষিদ্ধ ওয়েবসাইট আসক্তির জেরে বাবা-মায়ের সাথে অভিমান করে কিশোরের আত্মগোপন।কিশোরকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম:: - দৈনিক মানবাধিকার সংবাদ
২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| বর্ষাকাল| শনিবার| সকাল ৯:১৮|
শিরোনামঃ
দক্ষিণ কাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন করলেন এমপি আশু প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ সাতক্ষীরায় কৃষক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা পাইকগাছায় অন্যত্র বিয়ে ঠিক করায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী প্রেমিক-প্রেমিকার একই সময়ে আত্মহত্যা তালায় অর্থনৈতিক শুমারিতে নিয়োজিত লিস্টারগণের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন তালায় ইন্টারফেইস মিটিং অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরায় অনলাইন জুয়াচক্রের ১০সদস্য গ্রেপ্তার মেডিকেল শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে অনলাইনে যৌন ব্যবসা, আয় শতকোটি টাকা তালায় রাজাকার ওহাব আলীর দপ্তরিক শাস্তির দাবিতে ইউএনও’র কাছে অভিযোগ তালায় পুকুর খননের সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় ওয়ান শাটারগান উদ্ধার।

পাবজি গেম, পর্নোগ্রাফি এবং বিভিন্ন নিষিদ্ধ ওয়েবসাইট আসক্তির জেরে বাবা-মায়ের সাথে অভিমান করে কিশোরের আত্মগোপন।কিশোরকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম::

নিউজ ডেস্কঃ
  • Update Time : রবিবার, মে ৮, ২০২২,
  • 462 Time View

র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, মাদক উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

গত ১০ ডিসেম্বর ২০২১ইং তারিখ দুপুর আনুমানিক ১৪০০ ঘটিকায় ভিকটিম অভিক দে (১৫), পিতা- প্রভাস দে, মাতা- কনিকা দে, সাং-ডাবুয়া, থানা-রাউজান, জেলা-চট্টগ্রাম বর্তমানে ডিসি রোড, গনি কলোনী, গনি সাহেবের ভাড়াটিয়া, ১৩নং বাসা, থানা-চকবাজার, জেলা-চট্টগ্রাম তার বাসা থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফিরে আসেনি। ভিকটিমের নিখোঁজ হওয়ার পর হতে ভিকটিমের মা-বাবা, আত্বীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য সকল জায়গায় ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে গত ১১ ডিসেম্বর ২০২১ইং তারিখ চট্টগ্রাম জেলার চকবাজার থানায় নিখোঁজ ভিকটিমের মা বাদী হয়ে একটি নিখোঁজ সংক্রান্ত জিডি করে যার নং-৪৮৩ তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০২১ইং এবং পরবর্তীতে ভিকটিমের মায়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে চকবাজার (সিএমপি) থানায় ০৩ জনকে আসামী করে একটি মামলা হয় যার নং- ০৭, তারিখ- ২৬/০৩/২০২২খ্রিঃ ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ ( সংশোধনী/২০০৩) এর ৭/৩০।

নিখোঁজ ভিকটিমের মা-বাবা তার ছেলেকে কোথায়ও খুঁজে না পেয়ে আত্বাহারা হয়ে নিখোঁজ ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আশায় র‌্যাব-০৭, চট্টগ্রাম বরাবর চকবাজার (সিএমপি)থানার মামলা ও জিডির কপিসহ একটি আবেদন করে বিষয়টি অবগত করে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম বিষয়টি গুরুত্বের সহিত আমলে নিয়ে নিখোঁজ ভিকটিম এবং এর সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে। নজরদারীর এক পর্যায়ে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গত ০৬ মে ২০২২ ইং তারিখ রাত আনুমানিক ২২২৫ ঘটিকায় চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানাধীন নিউ চান্দঁগাও থানামোড় অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিমের মায়ের সনাক্ত মতে নিখোঁজ ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যায়, সে গত ১০ ডিসেম্বর ২০২১ইং তারিখ দুপুরে মোবাইলে ফ্রি-ফায়ার গেমস খেলছিল। তখন তার বাবা-মা তাকে বলে “লেখা পড়া বাদ দিয়ে গেমস খেলছো কেন” লেখাপড়া বাদ দিয়ে গেমস খোলার কারনে বাবা মা অভিক দে’কে শাসন করে। এক পর্যায়ে তার বাবা রাগের মাথায় বলে “তোমার রোজগার তুমি করে খাও” এই কথা শোনার পর ভিকটিম অভিক দে তার বাবা মার সাথে রাগ করে কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। ঘটনার দিনেই ভিকটিম অভিক দে চট্টগ্রাম শহরের অলংকার এলাকার একটি রেষ্টুরেন্টে চাকুরী নেয়। সেখানে ০১ মাস ২২ দিন চাকুরী করার পর সে পরবর্তীতে চান্দগাঁও নতুন থানার মোড় এলাকার আরেকটি রেষ্টুরেন্টে চাকুরী নেয়। সেখানে সে ০১ ফেব্রæয়ারি ২০২২ইং তারিখ হতে কাজ করতে থাকে কাজের এক পর্যায়ে ওখানকার এক ষ্টাফের কথায় ক্ষুদ্ধ হয়ে চাকুরী ছেড়ে দিয়ে সে পুনরায় চান্দগাঁও নতুন থানার মোড় নিউ চান্দগাঁও রেষ্ট হাউজে চাকুরী নেয়। সেখানে ১৫ ফেব্রæয়ারি ২০২২ইং তারিখ হতে উদ্ধার হওয়া পর্যন্ত চাকুরীতে কর্মরত ছিল। উল্লেখ্য যে, নিখোঁজ ভিকটিম অভিক দে নিখোঁজ থাককালীন সকল জায়গায় তার আসল নাম পরিবর্তন করে নয়ন দে নামে পরিচয় দেয় এবং সে ইচ্ছে করেই বাবা মাকে তার অবস্থানের কথা বলেনি।

উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানায় যায়, নিখোঁজ ভিকটিম অভিক দে প্রাপ্ত বয়স্কদের একটা গ্রæপের সাথে চলাফেরা ছিলো। এই গ্রæপে অভিক দে অপহরন মামলার তিন আসামী হান্নান, লিও দাস, ও জয় নাম রয়েছে। হান্নান ইউরোপের পোল্যান্ড থাকে এবং জয় থাকে কাতারে। মূলত এরা বিশেষ করে যখন দেশে ছূটিতে থাকে তখন এ উশৃঙ্খল ও বিকৃত রুচির গ্রæপের কার্যক্রম বেড়ে যায়। নিখোঁজের সময় হান্নান ও জয় ছুটিতে ছিল। এ গ্রæপের সদস্যরা পরস্পর এডাল্ট ভিডিও শেয়ার করত ও ইন্টারনেট পর্নোগ্রফিতে আসক্ত ছিল।

পাবজি খেলার পাশাপাশি অভিক দে এসবে আসক্ত হয়ে পড়ে। সে গোপনে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক একাউন্ট চালাত ও বেনামি ৫/৬ টি সিম ব্যবহার করত। পড়াশুনা প্রায় ছেড়ে দিযে সে সারাদিন এসব নিয়ে পড়ে থাকত বলে বাবা-মা কড়া শাসন শুরু করলে সে তার গ্রুপের অন্যান্য এডাল্ট দের মত স্বাধীনতার খোঁজে বাড়ি হতে বের হয়ে যায়। তার হদিস কেউ যেন না পায় এজন্য সে তার ব্যবহৃত মোবাইল টিও রেখে যায়। কিন্তু পরে নয়ন দে নামে এক ছদ্মনামে ফেসবুক একাউন্ট খোলে। আতœগোপণ থাকাকালীন সে নিজেকে নয়ন দে নামে পরিচয় দেয় এবং বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রকম ঠিকানা দিয়ে অবস্থান করে।

উদ্ধারকৃত ভিকটিম সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি। © প্রকাশক কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত -২০২২

You cannot copy content of this page