প্লাস্টিক বর্জ্যের দূষণে বিপর্যস্ত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পরিবেশ। এ জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী, ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ভয়াবহ পরিস্থিতির শঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে যেদিকে দৃষ্টি যায়, কেবলই প্লাস্টিকের ভেসে আসা আবর্জনা। প্লাস্টিকের এসব আবর্জনার জন্য সৈকতে নামাই যেন দুষ্কর। যাতে বিরক্ত পর্যটকরাও। অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা হোটেল-মোটেল, রেস্টুরেন্ট, ভাসমান দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্যের শেষগন্তব্য সমুদ্র সৈকত। প্লাস্টিক বর্জ্যের কারণে স্বাভাবিক রঙ হারাচ্ছে সাগরের পানি। বিকল্প না থাকায় ক্ষতিকর এই পণ্যের ব্যবহারও বন্ধ হচ্ছে না। ফলে বিপদ বাড়ছে সৈকতের শহরে।
হোটেল ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান বলেন, বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি না করে যদি প্লাস্টিক বা পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করি তাহলে আমাদের দৈনন্দিন চাহিদা আমরা কিভাবে মিটাবো।
কক্সবাজার বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, কক্সবাজার এবং সমুদ্র সৈকত উভয়ই দূষিত হচ্ছে। এখানে প্লাস্টিক ব্যবহার বেড়ে গেছে যা নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। তবে পর্যটন শহরকে প্লাস্টিক মুক্ত করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, প্রতিদিন সৈকতে যে পরিমাণ বর্জ্য জমা হয়, তার ৭৮ ভাগই প্লাস্টিক। অথচ, শহরে প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইক্লিংয়ের কোনও ব্যবস্থাই নেই। তাই এখনই এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আগামীতে ভয়াবহ পরিস্থিতির শঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।