হবিগঞ্জের বাহুবলে স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় স্বামী সহ শশুর বাড়ির লোকজন আত্মগোপন করেছেন। এমনটি দাবী করছেন প্রতিবেশি তাদের স্বজনেরা। এদিকে,গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন নিহতের মা ও পরিবারের লোকজন।
এলাকাবাসী সূত্রে প্রকাশ, গত ২ বছর আগে উপজেলার উত্তর স্নানঘাট গ্রামের ফুরুক মিয়ার মেয়ে পবলীকে ২য় বিয়ে করে একই উপজেলার স্বস্তিপুর গ্রামের ফুল মিয়ার পুত্র কাওছার মিয়া। বিয়ের কিছুদিন যাবার পর সে তার সাবেক স্ত্রীর সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। এতে পবলী তার কারণ জানতে চাইলে কাওছারের মা ও ভাইয়েরা পবলীর সাথে প্রায়ই ঝগড়াঝাঁটি করতো। এমনকি,পবলীর স্বামীও তার নিকট যৌতুক দাবী করে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন চালায়। স্থানীয়ভাবে কয়েকটি সালিশ বৈঠক বসলেও তাতে কোনো কাজ হয়নি। এমতাবস্থায়, গত ৪ মে, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার স্বস্তিপুর গ্রামে স্বামীর বাড়িতে বসতঘরে ঘরের তীরের সাথে উড়না পেছিয়ে গৃহবধূর মৃত্যুের ঘটনা ঘটে। এতে পবলীর স্বামী তার পিত্রালয়ে ফোন করে জানায়,পবলী আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করেছে। নিহতের মায়ের দাবী,পবলী ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল এবং ঈদের পরদিন স্বামীকে নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল। পরবর্তীতে সংবাদের বাকি অংশ থাকছে।