হবিগঞ্জের বাহুবলে স্বামীর নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন, আমিনা খাতুন নামে ৫ সন্তানের এক জননী। শুধু তা-ই নয়-স্বামীর বাড়ি ঠাঁই খুঁজে না পেয়ে পিত্রালয়ে মাথা গুজার ঠাঁই খুঁজে পেলেও বসবাস করতে পারেননি। সবকিছু ছেড়ে এখন অন্যের বাড়িতে গত ৩ মাস যাবত বসবাস করতে হয়েছে। এরকম ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভাদেশ্বর গ্রামে। জানা যায়, উপজেলার পুকুরপাড় গ্রামের আঙ্গুর মিয়ার সাথে কয়েক বছর পুর্বে পাশ্ববর্তী ভাদেশ্বর গ্রামের আমিনা খাতুনের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে ৫ সন্তানের জনক-জননী হয়ে উঠেন। অভাব-অন্টনের পরিবারটি স্বামীর উপার্জনেই চলছে। এমতাবস্থায়, আমিনা খাতুনের কাছে তার স্বামী মোটা অংকের টাকা যৌতুক দাবী করেন। আমিনা স্বামীর দাবী রাখতে না পারায় পারিবারিক কলহ বাড়তে থাকে। এতে আমিনার উপর তার স্বামী আঙ্গুর মিয়া শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন চালিয়ে বাড়িছাড়া করেন। নিরুপায় হয়ে চলে আসেন ভাদেশ্বর পিত্রালয়ে। এখানে নিজ খরচে একটি ঘর তৈরি সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতেছিলেন। পরবর্তীতে আঙ্গুর মিয়াও এখানে চলে আসেন। কিছুদিন চলে যেতে না যেতে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে মনোমালিন্য দেখা দেয় এবং পিত্রালয়েও স্বামীর নির্যাতনের শিকার হন। এরইমাঝে গত ৩ মাস আগে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন আমিনা খাতুন। তাতে স্বামীর কাছে চিকিৎসার টাকা খুঁজার অপরাধে আবারো মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। আমিনা খাতুনের সন্তানেরা জানান, প্রায়ই মা-বাবার মাঝে ঝগড়াটে হতো। গত ৩ মাস আগে মারধর করে বাড়ি ছাড়া করলে তাদের মা স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার ফরিদ মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেন। আমিনা খাতুন নির্যাতনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন,নির্যাতনে বাড়ি ছাড়া হওয়ার কারনে সন্তানদের সাথে ঈদ আনন্দ হচ্ছে না। ওয়ার্ড মেম্বার ফরিদ মিয়া জানান, গত ৩ মাস যাবত অসহায় অবস্থায় ওই মহিলাকে আশ্রয় দিয়েছেন। তবেঁ, আঙ্গুর মিয়া কারও কোন অনুরোধ রাখেননি। আঙ্গুর মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি,তার স্ত্রী’র উপর মারাত্মক ক্ষোভ প্রকাশ করেন।