বাহুবলে প্রেমিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রেমিকার মামলা দায়েরের ঘটনায় চলছে রসালো আলোচনা-সমালোচনা।এমনকি, আইনি সুবিধা ভোগ করতে গিয়ে স্কুলের ভূয়া শিক্ষিকা দাবী করার অভিযোগে শিক্ষক,শিক্ষিকা সহ সর্বত্র চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে। এদিকে, মামলার বাদীনি স্কুলের শিক্ষিকা দাবী করেন। তবেঁ, অস্বীকার করছেন, স্কুলের পরিচালক ও সংশ্লিষ্টরা।
প্রকাশ, বাহুবল উপজেলার তিতারকোনা গ্রামের কদর আলীর পুত্র জাবেদ আহমেদের সাথে একই উপজেলার কচুয়াদী গ্রামের ফয়েজ আহমেদ মিন্টুর স্ত্রী শারমিন আক্তার সুমি নামে এক মহিলা দীর্ঘদিন যাবৎ প্রেম- ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ ঘটনাটি এলাকার মানুষের জানাশোনা রয়েছে। এরই মাঝে গত ২৫ এপ্রিল আদিবা সাম্মি নামের এক ফেসবুক আইডিতে সুমি ও জাবেদের অন্তরঙ্গ মহুর্তের ছবি প্রকাশ করা হয়। এতে সুমি সহ তার স্বামী এবং পরিবারবর্গের মান-সম্মান হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে দাবী তুলে নিজেকে মিরপুর সানশাইন মডেল হাই স্কুলের কর্মরত শিক্ষিকা পরিচয়ে বাহুবল মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনার জের নেয়। মামলার বাদীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গত ১১বছর যাবত স্কুলের শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত। এমতাবস্থায়, গত ৬ মাস যাবত স্কুলে ছুটি কাটাচ্ছেন। এছাড়া, জাবেদের কুপ্রস্তাবের বিষয়টি পারিবারিক ভাবে আগে থেকে জানানো হয়েছে বলে দাবী করেন। এদিকে, স্কুলের পরিচালক এম সামছুদ্দিন জানান, সুমি ওই স্কুলের কোনো শিক্ষিকা নন। গত ২ বছর যাবত অনুপস্থিত রয়েছেন। তাছাড়া, জাবেদের সাথে সুমির প্রেম সম্পর্কের কথা সকলেই জানেন। অপরদিকে, এ ঘটনাটি সাজানো হয়েছে বলেও দাবী করা হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলায় সুবিধা নিতে গিয়ে ভূয়া শিক্ষিকা পরিচয় দেয়া হয়েছে। এটি খুবই ঘৃণিত কাজ। নিজের স্বার্থের জন্য ভূয়া শিক্ষিকা পরিচয় দিয়ে প্রতিষ্ঠান সহ শিক্ষিত সমাজকে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে।