হবিগঞ্জের বাহুবলে পুর্ব শত্রুতার জের প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় রক্তাক্ত জখম করার গুজব ছড়িয়েছেন হাজী আব্দুল মালেক নামে এক ব্যক্তি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, হামলা কিংবা মারধরের ঘটনা গুজবপ্রচার বলেই অনেকের ধারনা। প্রতিপক্ষকে গায়েল করতে গিয়ে এটি একটি কৌশলজাল বলেও অনেকেই মন্তব্য করেন। এনিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার জের নিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বাহুবল উপজেলার কদ্দুছের বাড়ি নামকস্থ মদিনা মার্কেটে। এলাকাবাসী জানান, উপজেলার দশকাহনিয়া গ্রামের হাজী আব্দুল মালেকের সাথে তারই ভাতিজা নায়েব হোসেন সহ অন্যান্য ভাতিজাদের মাঝে জায়গাজমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিবাদ চলছিল। চাচা হাজী আব্দুল মালেক ও তার ভাতিজা নায়েব আলী সহ অন্যান্যদের চলমান পরিস্থিতি স্থানীয় সালিশ বিচারর মাধ্যমে সমঝোতার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এএমতাবস্থায় গত ৬ অক্টোবর সকাল ৯টার দিকে মদিনা মার্কেটের পেছনে নায়েব আলী ও তার ভাই বাউন্ডারির কাজ শুরু করলে হাজী আব্দুল মালেক সেখানে যাওয়া অবস্থায় পা পিছলে পাশ্ববর্তী রডের উপর পরে যান। ওই সময় তার ভাতিজারা হাতে ধরে উপরে নিয়ে আসেন। এ ঘটনার সূত্রধরে তাকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে মর্মে এলাকায় গুজব ছড়ানো হয়। তবেঁ হাজী আব্দুল মালেকের পুত্র জসিম উদ্দিন তার পিতাকে মারধর করা হয়েছে কথাটি দাবী করলেও আহত ব্যক্তির ভাতিজা নায়েব আলী ও তার ভাই মোশাররফ মারধর করার ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, আব্দুল মালেক তিনি নিজেই মাটিতে পরেছিলেন। বাবার বদলে চাচা তাই হাতে ধরিয়ে উপরে তুলে নিয়ে যাই। ঘটনাস্থল এলাকার ভাদেশ্বর গ্রামের ব্যবসায়ী কদ্দুছ মিয়া জানান, মারামারির খবর লোকমুখে শোনছেন, দেখেননি। জাঙ্গালিয়া গ্রামের মতলিব মিয়া জানান,কে,কাকে মারছে? তিনি দেখেননি। হারুন রশিদ জানান, ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তার ছেলের মাধ্যমে মালেকের মাথায় রক্ত ঝড়ছে বলে শোনতে পান। ব্যবসায়ী নুর আলী জানান, ঘটনার বিষয়ে কিছু জানেননি। কসবা করিমপুর গ্রামের দেওয়ান মিয়া জানান, ঘটনাস্থল এলাকায় তিনি গরু ঘাস সংগ্রহ করতেছিলেন। মারামারি ঘটনা জানেনি। আব্দুল মালেকের পুত্র জসিম জানান, জায়গা বিবাদ চলছে। গত শুক্রবারে সালিশ বৈঠকে বসার কথাছিল। এরমাঝে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে পেছন দিকে এসে মোশাররফ ও নায়েব মারধর করে জখম করে। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবেঁ জসিম ও ফেরদৌস তাদের বাড়িতে ছিলেন এবং মারামারিকালে উপস্থিত ছিলেন না বলে জানিয়েছেন।