বিরামপুর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের মাধুপুর এলাকা হইতে ৩ বান্ডিল তাস, জুয়া খেলার নগদ ৭ হাজার ৬শ ৮০ টাকা ও ২টি প্লাষ্টিকের তৈরী পাটি উদ্ধারসহ ২১ জুয়ারুকে আটক করেছে বিরামপুর থানা পুলিশ। বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃত জুয়াড়ীরা হলেন- উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের মাধুপুর গ্রামের মৃত সদর উদ্দিন মোল্লার পুত্র মোকছেদ আলী(৫২) ও বাবুল হোসেন(৫৭), মৃত সমতুল্লাহর পুত্র হাকিমুদ্দিন (৫৫), শাহার উদ্দিনের পুত্র শরিফুল ইসলাম (৪০), ফজর উদ্দিন মোল্লার পুত্র মাহাবুর রহমান(৩৪) ও মোয়াজ্জেম হোসেন(৪৫), ইয়াজ উদ্দিনের পুত্র আমিনুর ইসলাম(৪৫), মৃত জবান আলীর পুত্র মিজানুর রহমান(৪২), নিজাম উদ্দিনের পুত্র মিজানুর রহমান(৪৪), মৃত জমির উদ্দিনের পুত্র আয়েজ উদ্দিন(৬৫), মৃত ফরিদ মোল্লার পুত্র গোলজার হোসেন(৪৫), সুজার উদ্দিন মোল্লার পুত্র নুরনবী মোল্লা(৩৩),মৃত মহির উদ্দিনের পুত্র গোলাপ হোসেন(৪৫), মৃত মুলন সরকারের পুত্র মশিরুল ইসলাম ওরফে মশহুরুল (৩২), পিতা-মৃত মুলন সরকার,মৃত খেতাব উদ্দিনের পুত্র হাফিজুর রহমান(৪৫), মৃত শনিচরন টুডুর পুত্র পরিমল টুডু (৪৫), কছিমুদ্দিন মোল্লার পুত্র বাবলু মোল্লা (৩৩), দক্ষিণ কাটলা গ্রামের মৃত আব্দুল মোত্তালেব, শরিফুল ইসলাম(৩৫), উত্তর কাটলা গ্রামের নেফাজ উদ্দিন মন্ডলের পুত্র আবু তাহের (৩৭), বেনীপুর গ্রামের মৃত দবির মন্ডলের পুত্র আমিনুর (৪৬) এবং কাটলা ময়ামারি গ্রামের হাফিজুর রহমানের পুত্র মোঃ শাহিনুর ইসলাম(২৮) এই সূত্রে থানা পুলিশ জানায়।
(১১জানুয়ারি) মঙ্গলবার গভীর রাতে বিরামপুর উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের মাধুপুর গ্রামে এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিরামপুর থানা পুলিশ।
বিরামপুর থানা সূত্রে জানা যায় যে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত’র দিক-নিদের্শনায় এসআই মামুনুর রশিদ ও এসআই নুর আলম সিদ্দিক এবং সঙ্গীয় ফোর্সসহ মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের মাধুপুর গ্রামে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৩ বান্ডিল তাস, জুয়া খেলার নগদ ৭ হাজার ৬শ ৮০ টাকা, ২টি প্লাষ্টিকের তৈরী পাটি উদ্ধারসহ ২১জুয়ারুকে হাতে নাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় পু্লিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে শামীম মিয়া ওরফে আইটেম ও শহিদুল ইসলাম পালিয়ে যায়।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় বিরামপুর থানায় ১৮৬৭ সালের জুয়া আইনের ৩/৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের মঙ্গলবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং বাকী পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।