পশ্চিম বাংলার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার অন্তর্গত বারুইপুর জেলা পুলিশের অধীনে বাসন্তী থানা থেকে থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় এক নাবালিকা। এই নাবালিকা কে বাসন্তী থেকে দেহব্যবসার উদ্দেশ্যে নিয়ে যায় আবেদ আলী নামক যুবক।
তিনি প্রথমে বাসন্তী থানা এলাকা থেকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ও মুখে কাপড় বেধে তাকে কলকাতা থেকে কর্নাটক রাজ্যের বাঙ্গালোর শহরে নিয়ে যায়। সেখানে জয়ন্তী বাজার এলাকায় দালাল মারফত বিক্রি করে দেয় দেহব্যবসার উদ্দেশ্যে। দীর্ঘদিন দেহব্যবসার পর ঐ নাবালিকা কে কিনে নেয় বাংলাদেশের সুন্দরী মহিলা পাচারকারীর জেসমিন আরা ওরফে সাথী ওরফে লাভলি। এই মহিলা পাচারকারী জেসমিন আরা আদি নিবাস বাংলাদেশের যশোর জেলার হাসাভাঙগা, ওয়াট নাম্বার ০২,পোস্ট, চিনাটোলা, উপজেলা মনিরামপুর। এই মহিলা পাচারকারী জেসমিন আরা তিনি বাঙ্গালোর থেকে বাসন্তী র ঐ নাবালিকা কে কিনে নেয়। এবং তাকে একটি ম্যাসেজ পার্লারে বিক্রি করে দেয়। সেখানে ম্যাসেজ পার্লারের আড়ালে লুকিয়ে চলতে থাকে দেহব্যবসা। দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর এই নাবালিকা কে উদ্ধার করতে তৎপরত হয় বারুইপুর জেলা মহিলা পুলিশের আই সি এবং দক্ষ পুলিশ অফিসার শ্রীমতী কাকলী ঘোষ কুন্ডু। তিনি বাঙ্গালোর থেকে ঐ নাবালিকা কে উদ্ধার করতে একটি টিম পাঠান এবং বাঙ্গালোর থেকে ঐ নাবালিকা কে উদ্ধার করে । এবং সাথে সাথে বাংলাদেশের মহিলা পাচারকারী কে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসা হয় বারুইপুর মহিলা থানাতে। ধৃত মহিলা পাচারকারী কে তোলা হয় আলিপুর জেলা আদালতে। এদিকে ধৃত বাংলাদেশের মহিলা পাচারকারী জেসমিন আরা ওরফে লাভলি র বিষয়ে খোঁজ নিতে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছে কলকাতার বাংলাদেশের উপদূতবাসের সাথে। বারুইপুর মহিলা পুলিশের আই সি চেষ্টা করছেন ধৃত বাংলাদেশের মহিলা পাচারকারী জেসমিন আরা সাথে আরো কারা যুক্ত আছেন।।