রাজধানীর মিরপুরে ডিওএইচএস কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে টানা ৪০ দিন মসজিদে নামাজ আদায় করে বাইসাইকেল উপহার পেয়েছে ২৩০ জন শিশু-কিশোর। শিশু-কিশোরের মধ্যে ইসলামি মূল্যবোধ জাগ্রত করতে ও দ্বীনি শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে মসজিদ কর্তৃপক্ষ এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) শিশুদের মাঝে এই পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সর্বনিম্ন ৩০ ওয়াক্ত নামাজ আদায়কারী শিশুদেরও স্মার্ট ওয়াচ উপহার দেওয়া হয়।
মসজিদ কর্তৃপক্ষের ঘোষণা পর এতে স্বতস্ফুর্তভাবে অংশ নিতে প্রায় ৩৫২ জনেরও বেশি শিশু-কিশোর নিবন্ধন করেছিল। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৪ বছরের শিশু থেকে ১৬ বছরের কিশোরেরাও ছিল। এর মধ্যে ২৩০ জন শিশু-কিশোর নিয়মিত ৪০ দিন মসজিদে এসে নামাজ আদায় করতে সক্ষম হয়।
জানা গেছে, দ্বিতীয়বারের মতো এই পুরস্কারের আয়োজন করেছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত বছরও এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত বছর মসজিদ কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগে ৯৩ জন শিশু-কিশোর টানা ৪০ দিন নামাজ আদায় করেছিল। এবার সেই সংখ্যা বেড়েছে প্রায় তিন গুণ।
এ বিষয়ে মিরপুর ডিওএইচএস-এর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব, হাফেজ মাওলানা মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এই উদ্যোগ সফল করতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করেছেন শিশুদের অভিভাবকরা, তারা বাচ্চাদের যেভাবে প্রস্তুত করে মসজিদে আসতে সহযোগীতা করেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয় এবং আমি আশাবাদী, বিগত দিনগুলোর মতো শিশুরা সামনের দিনগুলোতেও মসজিদে আসবে’।
টানা ৪০ দিন নামাজ আদায় করা এক শিশুর অভিভাবক মামুন উর রশিদ বলেন, ‘মিরপুর ডিওএইচএস-এর মসজিদ কমিটির এই উদ্যোগ অনেক প্রশংসনীয়। এমন উদ্যোগের কারণে আমাদের সন্তানেরা নিয়মিত মসজিদে আসার ফলে অনেক দ্বীনি বিষয় সঠিকভাবে শিখতে পেরেছে। তিনি বলেন, শিশুদের মসজিদমুখী করতে দেশের প্রতিটি মসজিদ কমিটির এমন উদ্যোগ নেওয়া উচিত।’
মসজিদ কমিটির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারের (অব.) খোরশেদ আলম জানান, সাড়ে ৩ শ’রও বেশি শিশু-কিশোর রেজিস্ট্রেশন করলেও সফলভাবে টানা ৪০ দিন জামাতে অংশ নিতে পেরেছে ২৩০ জন। মসজিদে আসার এ চ্যালেঞ্জে জয়ী শিশুরা ব্যক্তিজীবনেও নিয়মানুবর্তী হয়ে উঠবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।