বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলা আওয়ামীলীগের সংগঠক বর্ষীয়ান ত্যাগী নেতা মরহুম ইয়াছিন আহমেদ এর আজ ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী।
আজকের এদিনে ১৯৯৯ সালের ২৮জুন খাগড়াছড়ি জর্জ কোর্টে মামলার হাজিরা দিয়ে আসার পত্রে রামগড় পাতাছড়া ইউনিয়নের মাহবুব নগর বটগাছের নিচে সন্ত্রাসীদের গুঁলিতে শাহাদাৎ বরণ করেন। ইন্তেকাল করেন,দিনটি উপলক্ষ্যে রামগড় উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে তার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়,মোনাজাত করেন মাষ্টারপাড়া আজিজিয়া জামে মাসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আবুল কালাম এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সা.সম্পাদক কাজী নুরুল আলম(আলমগীর),উপজেলা আওয়ামীগের যুগ্ম সা. সম্পাদক বিশ্ব প্রদীপ কার্বারী, পৌর আওয়ামীগের সভাপতি রফিকুল আলম (কামাল),উপজেলা আওয়ামী সহসভাপতি হাঁশেম খাঁ,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃশাহ-আলম,প্রদেশ ত্রিপুরা,উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার ফারুক, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আহসান উল্লাহ্, পৌর আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মোঃফারুক,সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন দাস,সাবেক কমিশনার বিষ্ণু দত্ত,ইয়াছিন সৈনিক মোঃসফিকুল আলম দুলাল,খাজা নাজিমউদ্দীন,সত্যজিৎ বড়ুয়া রুবেল,দিদার চৌধুরী,শ্যামল ত্রিপুরা, ঝন্টু পাল,মোঃহাশেমঁ,মোঃমজনু,মোঃঈসমাইল হোসেন,সেচ্ছাসেবকলীগের সা,সম্পাদক রাজু মার্মা,রামগড় কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সদস্যসচিব মোঃমাসুদ রানা,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আরমান চৌধুরী সহ যুবলীগ,ছাত্রলীগ, যুবলীগ, ও শ্রমিকলীগের নেতাকর্মী গন উপস্থিত ছিলেন।
শহীদ মোঃইয়াছিন এর ছেলে আরমান ফেসবুকে জানায়ঃ আমাদের পরিবারের জন্য একটা কালো অধ্যায়। এই দিনে আমার পরিবার এর আশার আলো প্রথম সন্তান কে হারিয়েছে। মা হারিয়েছে সন্তান, স্ত্রী হারিয়েছে স্বামী, ছেলে হারিয়েছে বাবা কে আর ভাই-বোন হারিয়েছে তাদের ভাই কে। এই দিন আমাদের ভুলার মতো নয়।
আমার বয়স তখন সাড়ে তিন কি চার বছর। অনেক ছোট। বাবা কি জিনিস তখনো বুঝতে শিখি নি। তবে এইটা জানতাম আমি তার অনেক আদরের ছিলাম। আমি তখন শুধু নতুন নতুন খেলনার বায়না ধরতাম। সেদিন বাবা খাগড়াছড়ি জজ কোর্টে যাচ্ছিলো। আমি নাকি বায়না ধরেছিলাম আমার জন্য দোতালা বাস গাড়ি আনার জন্য । বাবা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো সে সন্ধ্যায় ফিরে আসবে আর আসার সময় আমার জন্য দোতালা বাস গাড়ি নিয়ে আসবে। সে প্রতিশ্রুতি রেখেছে। আমার খেলনা পেয়েছি কিন্তু আমি আমার বাবা নামক বট বৃক্ষকে হারিয়ে ফেলেছি। আমার এখনো মনে পরে কিছুটা, আমরা তখন বর্তমান হাই প্লাজার পিছনে আশা অফিসের রুম টায় থাকতাম। আমার বড় চাচ্চু আমাকে আর আম্মুকে নিয়ে যায়। বাড়িতে গিয়ে দেখি অনেক মানুষ সেখানে। এরপর আমার কোন এক ফুপ্পি আমাকে কলে নিয়েছিলো এরপর আর কিছু মনে নেই আমার।
এরপর অনেক সময় কেটে যায়। আমি বড় হতে থাকি। আর আস্তে আস্তে সব কিছুই জানতে পারি। জানতে পারি রামগড় আওয়ামী লীগের জন্য তার বলিদানের কথা তার অবদানের কথা। কিন্তু দুক্ষের বিষয় আমার বাবার অবদানের কথা এখন আর কেউ মনে রাখে নি। সবাই শুধু পোস্ট, পদবি নিয়ে ব্যাস্ত।
বাবা মারা গিয়েছেন আজ ২৩বছর হলো। এই ২৩বছরে আমি কখনো দেখিনি বা শুনিনি আমার বাবার হত্যা কারীদের বিচার চাইতে। শুধু দেখেছি ২৮ শে জুন আসলে বড় করে বেনার বানিয়ে সৌজন্যে অমুক লিখে দিয়ে কিনবা ফেসবুক ছবি দিয়ে পোস্ট করে বিচার চাইতে। এই ২৮ জুন আসলেই সবার খবর হয় বাবার হত্যার বিচার চাওয়ার কথা। কিন্তু সারা বছর আমাদের ইয়াছিন ফ্যামিলির সদস্যদের কোন প্রকার খোজ খবর নিতে আমি আজও দেখিনি।
অনেক নেতাদের দেখেছে মোটরসাইকেলে কিনবা দামি গাড়িতে কালো গ্লাস তুলে ঘুরতে। রাস্তাঘাটে তারা আমাকে চিনে বলেও মনে হয় না। বছরে একদিন মনে রেখে কি লাভ? এইজন্য সবার উদ্দেশ্যেই বলছি বছরে একদিন এর জন্য আমাদের খোজ নাওয়ার দরকার আমি মনে করি না। আমার পরিবার চায় ও না আর এইসব। আমি আমার বাবার খুনিদের ও মাফ করে দিয়েছি। আমার বাবার হত্যার বিচার এই জনমে হবেও না। বিচার করবেন সয়ং আল্লাহ।
আজ আমার বাবার ২৩ তম মৃত্যু বার্ষিকী। আপনারা সবাই দোয়া করবেন আল্লাহ যেন তাকে জান্নাত দান করেন, আমিন।
এ শহরে আমি এখনো বেচে আছি
, তোমার হয়তো মনে নেই—
এ শহরে আমি এখনো বেঁচে আছি।
এখনো আমার বিষণ্ণ দীর্ঘশ্বাস ছড়িয়ে
পড়ে শহরের ব্যস্ততম চৌরাস্তায়।
এখনো আমি ছায়াহীন একটি
প্রেতাত্মার ন্যায়
শহরের সংকীর্ণ অলিতে গলিতে খুঁজে
ফিরি তোমার অস্তিত্ব।
তোমার আধা-স্পষ্ট পদচিহ্ন অনুসরণ করতে
করতে আমি পৌঁছে যাই
বহুস্তর বিশিষ্ট গগনচুম্বী আক্ষেপের চরম
অবস্থায়।
আমি অনেক কথা বলে ফেলছি কেউ মনে কষ্ট নিবেন না। ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।