খুলনার রূপসা উপজেলার শিয়ালী মধ্যপাড়া এলাকার চিত্তরঞ্জন বালা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ওই মামলায় আটক প্রধান আসামি সমীর বালা।
রোববার (২৪ এপ্রিল) খুলনা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ আদালতের বিচারক মো: মোস্তাফিজুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। সমীর বালা উপজেলার শিয়ালী এলাকার সুধীর বালার ছেলে।
ঘটনারদিন শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে চিত্তরঞ্জন ও সমীর বালার বাড়ির পিছনের একটি খাল থেকে কয়েকজন শ্রমিক মাটি কাটতে থাকলে সমীর বালা তাদের উদ্দেশ্যে করে কিছু মাটি একটি গাছের গোড়ায় দিতে বললে চিত্তরঞ্জন বালা অকথ্য ভাষায় তাকে গালাগালি করে। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি ও পরে মেহগুনি গাছের লাঠি দিয়ে চিত্তরঞ্জন বলার বাম হাতে আঘাত করে সমীর বালা। পরে ভিকটিম আহত হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয় তার পরিবার। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর ওই দিন সমীর ও তার ছেলে সনৎ বালার বিরুদ্ধে নিহতের ছোট ছেলে বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর ওই মামলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আটক করা হয় সনৎ বালাকে। আর সন্ধ্যায় র্যাবের হাতে আটক হয় সমীর বালা। রাতে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকান্ডের বিবরণ পুলিশকে জানায়। সমীর বালা ওই এলাকার সুধীর বালার ছেলে ও কাজদিয়া রেজিষ্ট্রি অফিসে দলিল লেখকের কাজ করে সে।
ওই মামলার অপর আসামি সনৎ বালা তেরখাদা উপজেলার হাড়িখালী টেকনিক্যাল এন্ড বিজ্ঞান ম্যানেজমেন্ট কলেজের কম্পিউটার অপারেশন শাখার প্রভাষক। ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না বলে দাবি করে তিনি বলেন, প্রতিবেশী এক ছোটভাই তাকে জানায় তার বাবার সাথে চিত্তরঞ্জন কাকার মারামারি হচ্ছে। বাড়ি গিয়ে তিনি দেখেন কাকা মাটিতে পড়ে আছে। এরপর তাকে উদ্ধারকরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়েও আসেন তিনি। এরপর সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে উপস্থিত হয়ে তার বাবা থানায়
হাজির হলে তাকে ছাড়া হবে জানিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসে বলেও জানান তিনি। কিন্তু পরে তিনি জানতে পারেন তাকেও ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে।