প্রেসক্রিপশন পরিবর্তন করতে যাওয়ায় চিকিৎসক ও ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি (রিপ্রেজেন্টিটিভ) দরজা বন্ধ করে রোগীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হাসপাতালে গিয়ে ওই চিকিৎসককে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে চিকিৎসককে মুক্ত করা হয়।
জানা গেছে, উপজেলার মণ্ডলপাড়া এলাকার মৃত শমছ উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৬০) ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৮ মার্চ চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি ব্যবস্থাপত্র হাতে নিয়ে মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদুল হাসানের কাছে গেলে চিকিৎসকের সঙ্গে বসে থাকা ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি, ডাক্তার ও রোগীর মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে চিকিৎসক তার কক্ষের দরজা বন্ধ করে রোগীকে মারধর করতে থাকলে রোগীর মাথা ফেটে যায়।
আহত রোগী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৩ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ডায়ারিয়া ভালো না হওয়ায় চিকিৎসা পরিবর্তনের জন্য ব্যবস্থাপত্র হাতে নিয়ে ডা. মাহমুদুল হাসানের রুমে যান। সেখানে প্রবেশ করা মাত্র ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি আরিফ তার হাত থেকে কাগজটি কেড়ে নেয়। তিনি কেন কাগজ কেড়ে নিলেন এমন কথা জানতে চাইলে ডা. হাসান ও আরিফ রুমের দরজা বন্ধ করে কিল-ঘুষি মারে। এবং দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়।
ধস্তাধস্তিতে মাথা ফেটে যাওয়ার কথা স্বীকার করে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদুল হাসান জানান, রোগী আমার রুমে আসলে আমার সঙ্গে বসে থাকা অন্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা বাঁধে। এ সময় বাইরে থেকে রোগীর অভিভাবক ক্ষিপ্ত হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি জরুরি মিটিংয়ে ছিলাম। বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রুকুনুজ্জামান শাহীন বলেন, হাসপাতালে বিবাদমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।