সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দুর্গাবাটি এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে পাঁচ গ্রামে জোয়ারের পানি ঢুকেছে। ভেসে গেছে তিন শতাধিক ঘেরের মাছ।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দিনগত রাত ১টার দিকে আগে থেকে দেবে যাওয়া বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে পানি প্রবেশ করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে পশ্চিম দুর্গাবাটি এলাকায় বেড়িবাঁধে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। দুপুরের দিকে খোলপেটুয়া নদীতে প্রবল জোয়ারে ১০০ ফুটের মতো বেড়িবাঁধ নদীতে দেবে যায়। বাঁধের এ অংশে দেড় থেকে দুই ফুট অবশিষ্ট ছিল। পরবর্তীতে রাতের জোয়ারে বাঁধের বাকি অংশও পুরোপুরি ধসে যায়। এরই মধ্যে উত্তর পুড়াদহ, পশ্চিম দুর্গাবগী, পূর্ব দুর্গাবগী, পুড়া কাতলা, পশ্চিম পুড়া কাতলা, বলবাড়ী গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে কয়েকশ ঘেরের মাছ।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজি নজরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে বাঁধে ভাঙনের সৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিক পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁধটি রক্ষা করতে পরিনি।
তিনি আরও বলেন, আজ দিনের ভাটিতে বাধটি সংস্কার না করতে পারলে আরও ছয়টি গ্রাম প্লাবিত হতে পারে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ মেরামতের চেষ্টা চলছে। পাউবোর কর্মকর্তারাও এসেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বিভাগীয় উপ-প্রকৌশলী জাকির বলেন, ‘দুর্গাবাটি বাঁধটি ঘূর্ণিঝড় আইলার সময় ভেঙে গিয়েছিল। এরপর কয়েকবার মেরামত করা হয়েছে। তবে গতকাল জোয়ারের পানির চাপে আবারও বাঁধটি ভেঙে গেছে। আপাতত স্থানীয়দের সহযোগিতায় স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ সংস্কারের চেষ্টা চলছে। পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাঁধটি সম্পূর্ণভাবে ঠিক করা হবে।’