1. admin@dainikmanobadhikarsangbad.com : admin :
সম্পাদকীয়:: - দৈনিক মানবাধিকার সংবাদ
১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| শুক্রবার| সকাল ১১:৪৭|

সম্পাদকীয়::

সম্পাদক/প্রকাশক
  • Update Time : রবিবার, জুলাই ১০, ২০২২,
  • 468 Time View

মানুষের কাজে ফেরা নির্বিঘ্ন হোক

ঈদুল আজহার ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। গতকাল থেকে বিভিন্ন গণপরিবহনে দেখা যাচ্ছে রাজধানীমুখী মানুষের ভিড়। ধারণা করা যায়, সপ্তাহজুড়ে এই ধারা অব্যাহত থাকবে। করোনাকালের এই ফেরায় আমরা চাই, সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুক। কারণ দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব চলছে প্রায় ছয় মাস ধরে। জুলাইয়ের শুরুতে সংক্রমণের মাত্রা অনেকটা বেড়ে যাওয়ার পর তা আস্তে আস্তে কমে আসে। তবে ঈদ, কোরবানি ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে সংক্রমণের মাত্রা আবার বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গত ঈদুল ফিতরের পরও সংক্রমণের মাত্রা বেড়েছিল আশঙ্কাজনক হারে। এবারের ঈদের সময়েও ঢাকা থেকে মানুষের গ্রামে যাওয়া, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পশুর হাটে যাওয়া, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কোরবানিও দিয়েছে মানুষ। যে কারণে মধ্য আগস্টে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জনস্বাস্থ্যবিদদের মতে, এবারের ঈদ ছিল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এ ঈদেই মানুষ গ্রামের বাড়ি বেশি যায়, পশুর হাট বসেছে। কতজন সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানি দিয়েছেন তা নিয়েও রয়েছে আশঙ্কা। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘ঈদে অনেক লোকজন বাড়ি গেছে, বিভিন্ন স্টিমার ও বাসে গেছে। আমরা দেখেছি, গাদাগাদি করে ফেরিতে পার হয়েছে। আমরা একটু আশঙ্কা করছি, কিছুটা সংক্রমণ বাড়তে পারে।’

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার শুরুতে জনসচেতনতা দেখা গেলেও এখন তাতে কিছুটা ভাটা পড়েছে। তবে বলা প্রয়োজন, এবারে বিপুলসংখ্যক মানুষ বিশেষত ঈদের আগে গণপরিবহনগুলোয় কোনো সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই গাদাগাদি করে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় ভ্রমণ করেছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়াও অনেকেই বাড়ির বাইরে বেরিয়েছেন। এজন্য নতুন করে করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে স্বাস্থ্য সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অন্যদিকে করোনার এই দুঃসময়ে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চল বানের পানিতে ভাসছে। খোদ রাজধানীর কোনো কোনো এলাকায় বানের পানি ঢুকে পড়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই সময়ে বর্ষাকালীন রোগ ও বন্যাজনিত অসুস্থতায় বিপর্যস্ত মানুষ, বিপর্যস্ত দেশের জনস্বাস্থ্যব্যবস্থা। রাজধানী থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষ ভুগছে কোনো না কোনো রোগে। বর্ষাজনিত জ্বর, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, টাইফয়েডের মতো রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এতে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। পরিস্থিতি সামলাতে প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

বস্তুত ঈদের আগে সুষ্ঠুভাবে ঘরে ফেরা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষ থাকে সক্রিয়। পরবর্তী পর্যায়ে একই ধারা অব্যাহত রাখা না হলে আগের সাফল্য ম্লান হয়ে যায়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের ধারাবাহিক সক্রিয়তা কাম্য। যাতে কাজে ফেরা মানুষকে কোনো ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে না হয়। মনে রাখতে হবে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মে নিয়োজিত এসব মানুষই সচল রাখে দেশের অর্থনীতির চাকা। গ্রামের প্রতি মানুষের আকর্ষণ ধরে রাখতে হলে ঘরে ফেরার মতোই কাজে ফেরাও নির্বিঘ্ন হোক দৈনিক মানবাধিকার সংবাদের পক্ষ থেকে এই প্রত্যাশা রইলো।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি। © প্রকাশক কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত -২০২২

You cannot copy content of this page