সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নে অবৈধ ড্রেজার মেশিন মালিক মোঃ আয়ুব আলী ও মোঃ আবু সাইদ সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার। ভুক্তভোগী সাংবাদিক মোঃ মুজাহিদ জানায়, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন পত্রিকায় সুনামের সাথে কর্মরত আছি। আমি সহ ০৫ জন সাংবাদিক গত ১১ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নে দৌলতপুর সরকারী কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশে সরকারী খাল থেকে অবৈধ ড্রেজার (বল গেট) মেশিন দিয়ে ভূগর্ভস্থ থেকে বালু উত্তোলন হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে যেয়ে আমাদের সাথে থাকা ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে থাকি। ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ঘটনাস্থল থেকে ফেরার পথিমধ্যে ড্রেজার মেশিনের মালিক ধুলিহর ইউনিয়নের মাটিয়া ডাঙ্গা গ্রামের মোঃ জিউফার সরদারের পুত্র চিহ্নিত সুদখোর, একাধিক নাশকতা মামলার আসামী ও চিহ্নিত বালুদস্যু ঐ এলাকার মোঃ জিউফার সরদারের পুত্র মোঃ আয়ুব আলী, লাবসা ইউনিয়নের দেবনগর গ্রামের মৃত আকবার আলীর পুত্র আবু সাঈদ, ধুলিহর ইউনিয়নের আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র আলমগীর হোসেন, আয়ুব আলীর পুত্র সুমন হোসেন ও জনৈক জিন্নাত হোসেন সহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল অতর্কিত আমাদের উপর হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রমান লুপাটের উদ্দেশ্যে আমার ব্যবহৃত ক্যামেরা, মোবাইল ফোন ও আমার ব্যক্তিগত মটরসাইকেলটি ভাংচুর করে। আমি ও আমার সহকর্মীরা প্রাণভয়ে তৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থল ত্যাগ করি। অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার ভূমি সদরকে জানালে উনারা তাৎক্ষনিক স্থানীয় ভূমি অফিসে তহশীদারকে নির্দেশ প্রদান করলে তহশীলদার লোক পাঠিয়ে মেশিনটি জব্দ করে ও বালি উত্তোলনের কাজ বন্ধ করে দেয়। পরদিন ১২ই সেপ্টেম্বর বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় মোঃ আয়ুব আলীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এবং তার পর থেকে বালু দস্যু আয়ুব আলী সহ তার সঙ্গীরা আমি ও আমার সহকর্মীদের হত্যা সহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি এ ব্যাপারে কোন উপায় না পেয়ে গতকাল ২৪ শে সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছি। এ ব্যাপারে আমি সুষ্ঠ বিচার দোষীদের শাস্তির জন্য পুলিশ সুপার সহ প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।