২০১৭ সালে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানাপুলিশ সেনপুর এলাকায় স্বর্ণ চোরাকারবারি বিপ্লব চ্যাটার্জির কাছ থেকে ১২০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করে। তখনকার পুলিশ সুপার ছিলেন আলতাফ হোসেন। তাকে উদ্ধার করা স্বর্ণের জব্দ তালিকা তৈরি হওয়ার বিষয়ে অবহিত করা হয়। পরবর্তী সময়ে স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনাকে মাদক উদ্ধার হিসেবে সাজানো হয়।
এ ঘটনায় থানায় স্বর্ণ চোরাচালানের মামলা রেকর্ড না হয়ে মাদক মামলা হয়। বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে জানতেন তৎকালীন সাতক্ষীরার এসপি আলতাফ হোসেন। অথচ দায়ীদের বিরুদ্ধে তিনি কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেননি। এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও অসত্য তথ্য দিয়েছিলেন তিনি। পরে তদন্ত হলে এ ঘটনা ‘সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত’ হয়। গুরুদণ্ড হিসেবে তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়।
বুধবার (১৮ মে) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন এ আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। ঐ প্রজ্ঞাপন ‘অবিলম্বে কার্যকর হবে’ বলে উল্লেখ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সিলেট রিজিয়ন ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার ও সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের করা বিভাগীয় মামলায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) বিধি মোতাবেক ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন প্রস্তাবিত দণ্ডের সঙ্গে একমত পোষণ করে। একই বিধিমালার ৪(৩)(গ) বিধিমতে গুরুদণ্ড হিসেবে তাকে ‘চাকরি হইতে অপসারণ’-এর বিষয়ে রাষ্ট্রপতি সম্মতি জ্ঞাপন করেন। এমতাবস্থায় তাকে বিধি অনুযায়ী গুরুদণ্ড হিসেবে প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে তাকে ‘চাকরি হইতে অপসারণ’ করা হয়।