অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে সাতক্ষীরা প্রশাসন। রোববার (২৯ মে) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে এ অভিযান শুরু হয়। অভিযানের প্রথম দিনেই ১০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শুরুতেই সাতক্ষীরা শহরের আল আকসা হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দলটি। হাসপাতালটির নিবন্ধন না থাকায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা ও কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজীব তালুকদার।
এরপর বিসমিল্লাহ ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান করে নিবন্ধনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় দুই হাজার টাকা জরিমানাসহ সেটির কার্যক্রমও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। খুলনা রোড মোড় এলাকার ক্রিস্টাল ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড হাসপাতালকে নিবন্ধন না থাকায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এরপর সোনালী ডায়াগনস্টিক সেন্টারও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজীব তালুকদার, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ডা. জয়ন্ত কুমার।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ডা. জয়ন্ত কুমার বলেন, অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করা হয়েছে। রোববার অভিযান চালিয়ে ১০ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একটিকে জরিমানা করা হয়েছে। আজকের মতো অভিযান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে সাতক্ষীরার সাত উপজেলায় ২৪০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে চলতি অর্থবছর পর্যন্ত নিবন্ধন নবায়ন হয়েছে মাত্র সাতটির। আর অনলাইনে আবেদন করে নিবন্ধনের অপেক্ষায় রয়েছে ১১৭টি। আবেদন করেনি ১২৩টি বেসকারি প্রতিষ্ঠান।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. মো. হুসাইন শাফায়াত বলেন, অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে ২৪০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তথ্য রয়েছে। এর মধ্যে সিবি হসপাতাল, কেয়ার ক্লিনিক, ডিজিটাল ল্যাবের তিনটি প্রতিষ্ঠান, কেয়ার ল্যাব ও শ্যামনগরের ডক্টরস ডোর এই সাতটি প্রতিষ্ঠানের চলতি বছর পর্যন্ত নিবন্ধন রয়েছে। বাকি সব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কোনো নিবন্ধন নবায়ন নেই। নিবন্ধন না থাকায় তারা এখন অবৈধ।