শ্যামনগর উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, ফোরামের সদস্য ও শ্যামনগর আতরজান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মানবেন্দ্র দেবনাথ, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহিদ সুমন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, সমাজ সেবক কুমুদ রঞ্জন গায়েন, যুব ফোরামের সভাপতি মমিনুর রহমান, সিডওি ইয়থ টিমের সংগঠক হাফিজুর রহমান, সামিউল ইসলাম মুন্না, মোঃ আবুজার, স্বরূপ ইয়থ টিমের প্রতিষ্ঠা পরিচালক জান্নাতুল নাইম, লিডার্স এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার এস.এম. মনোয়ার হোসেন, মনিটরিং অফিসার রনজিৎ কুমার মন্ডল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, “বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ক্রমবর্ধমান হারে বেড়ে চলেছে। উচ্চ জোয়ারের প্রভাবে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোনা পানিতে মানুষের জীবন-জীবিকা, সম্পদ, খাদ্য, পানি, বাসস্থানসহ অন্যান্য সংকট সৃষ্টি করেছে। ২০২১ সালে ২৬ মে সাইক্লোন ইয়াস এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় উচ্চ জোয়ারের কারনে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর, আশাশুনি, কালিগঞ্জ উপজেলা, খুলনা জেলার কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলা এবং বাগেরহাট জেলার শরণখোলা, মোড়লগঞ্জ ও মংলা উপজেলা বেড়িবাঁধ উপচিয়ে পানি ভিতরে প্রবেশ করে ভয়াবহ ক্ষতি সাধন করেছে। বর্ষা মৌসুম নদীর খরস্রোত ও উচ্চ জোয়ারের কারণে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে আবারও প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। ফলে মানুষের জীবন-জীবিকা, সম্পদ, খাদ্য, পানি, বাসস্থানসহ অন্যান্য সংকট আরও বৃদ্ধি পাবে।
বক্তারা আরো বলেন, সম্প্রতি সরকার ২টি মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে যা এ এলাকার মানুষের দাবী ছিল। কিন্তু উক্ত প্রকল্পের কাজ এখনও শুরু হয়নি। তাছাড়া এই ২টি প্রকল্প দিয়ে সকল ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নির্মাণও সম্ভব নয়। এ এলাকার মানুষের রক্ষার জন্য দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা খুবই জরুরি। পানি উন্নয়ন বোর্ড যেন মেগা প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ সঠিকভাবে বেড়িবাঁধের জন্য ব্যয় করেন উপকূলের মানুষের এটা প্রাণের দাবি।
মানববন্ধন থেকে জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগকে মাথায় রেখে সকল পোল্ডারে স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ পুনঃনির্মাণ করা, উপকূলীয় সকল মানুষের খাবার পানির টেকসই ও স্থায়ী সমাধান করার পাশাপাশি ‘একটি বাড়ি একটি শেল্টার’ ডিজাইন তৈরি করে মডেল বাড়ি নির্মাণ ও এই বাড়ি নির্মাণে প্রনোদনা দেয়ার দাবি জানান।