সাতক্ষীরায় তৃণমূলকে গতিশীল ও শক্তিশালী করতে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। তৃণমূল আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করে আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে সকল নেতাকর্মীকে একসাথে কাজ করার লক্ষে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার (৩ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কস্থ্য সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দেও উপস্থিতিতে এ বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে দলকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
বর্ধিত সভায় জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম ফজলুল হক সভাপতিত্ব করেন। দলের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদ প্রশাসক মোঃ নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। এ বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক এমপি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সদস্য এ্যাডঃ মোঃ আমিরুল আলম মিলন এমপি,পারভীন জামান কল্পনা ও এ্যাডঃ গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা এমপি। এছাড়া অনান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা-২(সদর), আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম জগলুল হায়দার, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, দলীয় ইউপি চেয়ারম্যানরা বক্তব্য রাখেন।
বর্ধিত সভায় তৃণমূল নেতাদের বক্তব্যে দলের দুর্দিনে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের উপজেলা পর্যায়ের কমিটিতে না রেখে গ্রুপভারি করতে হাইব্রীট ও সদ্য ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের কমিটিতে স্থান দিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পকেট কমিটি করে জেলা কমিটিতে অনুমোদন করার জন্য তোড় জোড়ের বিষয়টিও উঠে আসে। নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিদ্রোহী প্রার্থীদের দলে ও কমিটিতে না রাখার জন্য জোর দাবী তোলেন নেতা-কর্মীরা। বিগত ইউপি নির্বাচনে ৭৮টি ইউপি’র শিংহভাগ ইউনিয়নে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের সমর্থনে সক্রিয় থাকা নেতা-কর্মীরা জামায়াত ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের ভোটের মাঠে নামিয়ে তাদেরকে সক্রিয় করে তোলার কারনে নৌকার চরম ভরাডুবির বিষয়টি বর্ধিত সভায় উল্লেখ করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সধারণ সম্পাদক তাদের বক্তব্যে।
বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের বক্তব্যে বলেন, যারা দলের শৃঙ্খলা মানে না, নির্দেশ মানে না, তাদের কোনো ছাড় নেই। দলের বিদ্রোহীরা কোন পদ পদবি নয় বরং তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। দলের শৃঙ্খলা ফিরাতে সকল ভেদাভেদ ভুলে উন্নয়নের চাকা সচল রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে আবারো রাষ্ট্রক্ষমতায় আনতে হবে। কেন্দ্রীয় নেতারা এজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহবান জানান।