সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আনুষ্ঠানিকভাবে মধু আহরণ কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২টায় সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশন থেকে মধু আহরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এখান থেকেই কয়েকদিন আগে ১২০০ মৌয়াল প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রথম দফায় শনিবার ১৫ জন অনুমতি (পারমিট) নিয়ে সুন্দরবনের গভীরে মধু আহরণ করতে যাচ্ছেন।
সাতক্ষীরা রেঞ্জের নোটাবেকী, দোবেকি, পুষ্টকাটী ও কাচিকাটা পয়েন্ট থেকে মৌয়ালরা মধু সংগ্রহ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে বনবিভাগ। এছাড়া নির্দিষ্ট কিছু নিয়মকানুনও বেধে দিয়েছেন তারা। ১৫ দিনের বেশী কোন মৌয়াল সুন্দরবনে অবস্থান করতে পারবেন না। একেকজন সর্বোচ্চ ৫০ কেজি মধু ও ১৫ কেজি মোম আহরণ করতে পারবেন। এছাড়া প্রতিটি নৌকায় ১২ জনের বেশী থাকা যাবে না।
বনবিভাগ সাতক্ষীরা রেঞ্জের আয়োজনে বুড়িগোয়ালিনি ফরেস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মধু আহরন কর্মসূচীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) ইকবাল হোসাইন চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খুলনা বিভাগীয় বন সংরক্ষক (ডিএফও) আবু নাসের মোঃ মহসীন হোসেন।
আরো বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ উজ জামান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আইয়ুব ডলি, সাংবাাদিক কল্যাণ ব্যাণার্জী, শ্যামনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি জিএম আকবর কবির, বুড়িগোয়ালিনি ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম প্রমুখ।
বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতি কুইন্টাল মধুর জন্য ১৬০০ টাকা এবং মোমের জন্য ২২০০ টাকা রাজস্ব নির্ধারন করা হয়েছে। গতবছর ২৩২০ কুইন্টাল মধু ও ৬৯৬ কুইন্টাল মোম সংগ্রহ করা হয়েছিলো। যা থেকে ৫২ লাখ ২৪ হাজার ৮০০ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছিলো। এছাড়া ২০২১ সালে ৩৫ লাখ ৯০ হাজার ২১৩ টাকা রাজস্ব আয় করেছিলো সরকার।